
পরপর দুবার নদী থেকে বস্তাবন্দী কোরান শরিফ উদ্ধার, জনমনে চাঞ্চল্য, উদ্বেগ
কিছু ঘটনা জনমনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এর পেছনের কারণ কিংবা ব্যাখ্যা খুঁজে না পাওয়া গেলে চাঞ্চল্য বাড়ে। আর অসম্ভব ঘটনার পুনরাবৃত্তি নিঃসন্দেহে মানুষকে আরও বেশি ধন্দে ফেলে দেয়। ঘটনা-দুর্ঘটনায় বারবার বরাক উপত্যকার লকডাউনের স্তব্ধ জনজীবনে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হচ্ছে। এবার অন্য ধরনের এক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হল বরাক উপত্যকায়। আর এই চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী ঘটনাটি ঘটলো পরপর দুবার। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি হচ্ছে, বরাক নদী থেকে বস্তা বন্দী কোরান শরিফ উদ্ধার করা হয়েছে। একবার নয়, পরপর দুবার।
ঘটনায় প্রকাশ, মধুরবন্দ এলাকায় বরাক নদী থেকে বস্তা বন্দী অবস্থায় কোরান শরিফ উদ্ধার করা হলো গত শনিবার। খুব স্বাভাবিক ভাবেই মধুরবন্দ বরাকপার এলাকায় সঙ্গে সঙ্গে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। কারণ তার দুদিন আগে অর্থাৎ বুধবার বিকেলেও কৃষ্ণপুর বাইপাস এলাকায় একইভাবে বরাক নদী থেকে কোরান শরিফ উদ্ধার করা হয়। বস্তাবন্দী অবস্থায়। উদ্ধার করেন স্থানীয় জনগণ। সেই বস্তা থেকে ২৬ খানা কোরান শরিফ উদ্ধার করা হয়। পরে এই কোরান শরিফগুলো কৃষ্ণপুর আহমদিয়া মাদ্রাসা মসজিদে রাখা হয়।
একইভাবে শনিবার উদ্ধার করা ৩৭টি কোরান শরিফগুলো নিরাপদ স্থানে রাখা হয় বলে জানা গেছে। আরো জানা যায়, স্থানীয় দুই ব্যক্তি হঠাৎ করে নদীতে এদিন সকালে একটি বস্তা ভাসতে দেখে তাদের সন্দেহ হয়। সন্দেহের বশে বস্তাটি নদীর পাড়ে উঠিয়ে আনেন। বস্তার মুখ খুলতেই দেখেন ভেতরে অনেকগুলো কোরান শরিফ।
দু-দুবার একই ঘটনা ঘটে যাওয়ায় শুধু চাঞ্চল্য নয়, জনমনে উদ্বেগেরও সৃষ্টি হয়েছে। জনগণের কাছে ব্যাপারটা আরো আশ্চর্যের হয়ে উঠে, যখন জল থেকে তোলা হলেও বস্তার ভেতরে কোরান শরিফগুলো জলে ভেজেনি। এসবের পেছনে কী কারণ থাকতে পারে তা এখনো জানা যায়নি। কিন্তু জনমনে এ নিয়ে প্রচন্ড উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে বলে স্থানীয় জনগণ মন্তব্য করেন।
Comments are closed.