শিলচর মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু ৭, কাছাড়ে ৮৫ জন কোভিড পজিটিভ, করিমগঞ্জে ১৩১, হাইলাকান্দিতে ৮৮
শিলচর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে কোভিড সংক্রান্ত মৃত্যুর সংখ্যা সোমবার রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। গত চার দিনে মৃত্যুর সংখ্যা একজন বা দুজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। রোববার শিলচর মেডিক্যাল কলেজের কোভিড ওয়ার্ডে কেউ মারা যাননি। অথচ সোমবার কোভিড ওয়ার্ডে সাতজন রোগী মারা যান। তাদের মধ্যে ছয়জন কাছাড়ের এবং একজন করিমগঞ্জের।
শিলচর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ ড: ভাস্কর গুপ্ত জানান, ৭ জনের মধ্যে ৬ জনের কোভিড সম্পর্কিত মৃত্যু এবং করিমগঞ্জের একজন রোগীর কোভিড মৃত্যু হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় এক বেসরকারি হাসপাতালেও এক জনের মৃত্যু সংবাদ পাওয়া গেছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যে ৭ জনের মৃত্যু ঘটেছে এর মধ্যে রয়েছেন শিলচর লিংক রোডের বাসিন্দা সাংবাদিক অসীম দত্ত (৬৫), মেহেরপুর এলাকার চিত্ত রঞ্জন সূত্রধর (৮০), কাটিগড়ার মুন্না মালাকার (৩৩), উধারবন্দের নরেশ রায়(৭০), শ্রীকোনার কুলেন্দ্র চন্দ্র রায় (৬৫), খারিরপাড়ের হোসেন আহমেদ লস্কর (৪৪), এবং করিমগঞ্জ জেলার সুতারকান্দির বাসিন্দা ভূপেন্দ্র মোহনদাস (৮০)। গ্রীন হিলস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অম্বিকাপট্টি দূর্গাশংকর লেনের রাজা দাশগুপ্তের (৬৪) ও মৃত্যু ঘটে সোমবার।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, যখন কেউ কোভিড পজিটিভ হন এবং তিনি মেডিক্যাল কলেজের কোভিড ওয়ার্ডে মৃত্যুবরণ করেন, তখন তাকে কোভিড সংক্রান্ত মৃত্যু বলে সংজ্ঞায়িত করা হয়। তারপর কোভিড সম্পর্কিত সব মৃত্যুর রিপোর্ট পাঠানো হয় রাজ্য স্তরের ডেথ অডিট বোর্ডের কাছে। সেখান থেকে কোভিড মৃত্যুর ঘোষণা করা হয়। উপাধ্যক্ষ আরো জানান, শিলচর মেডিক্যাল কলেজে ১১৭ জনের কোভিড সম্পর্কিত মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৪৩ জনকে কোভিড মৃত্যু হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘন্টায় ২৪ জন রোগী শিলচর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন এবং ১৮ জনকে চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। অন্যদিকে ১৬ জন রোগী আইসিইউতে রয়েছেন এবং একজনকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। ২২ জন রোগীর অবস্থা গুরুতর বলে জানানো হয় এবং ২৬ জন রোগী অক্সিজেনের সহায়তায় রয়েছেন।
কাছাড় স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ৮৫ জন ব্যক্তি সোমবার কোভিড পজিটিভ ধরা পড়েছেন। তাদের মধ্যে ৮৪ জনের পরীক্ষা রেপিড এন্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে করা হয়।
এদিকে করিমগঞ্জ জেলায় কোভিড পজিটিভের সংখ্যা সোমবার ১৩১য়ে পৌঁছেছে। তার মধ্যে ৫৫ জনের কোভিড পজিটিভ ধরা পড়েছে আরটি-পিসিআর’র রিপোর্ট অনুযায়ী। অন্যদিকে ৭৬ জনের স্যাম্পল টেস্ট করা হয় রেপিড এন্টিজেন টেস্ট কিট ব্যবহার করে। সর্বমোট ১০৩৯ জনের স্যাম্পল টেস্ট করা হয় রেপিড এন্টিজেন টেস্ট কিট ব্যবহার করে ।
সোমবার হাইলাকান্দি জেলায় ৮৮ জন কোভিড পজেটিভ হয়েছেন। জেলার মোট কোভিড পজিটিভের সংখ্যা ২৬০৮।
Comments are closed.