Also read in

একাধিক পরাজিত ব্যক্তিদের রাখা হলো ব্রাঞ্চ সদস্য হিসেবে, সহকারি কোষাধক্ষের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন জ্যোতিষ্মান

জিবি ফরম্যাশনের পর শিলচর জেলা ক্রীড়া সংস্থার বিভিন্ন ব্রাঞ্চও গঠন হয়ে গেল। উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, নতুন কমিটির বিভিন্ন ব্রাঞ্চের সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে বিজিএমে পরাজিত একাধিক ব্যক্তিদের। সংস্থার শীর্ষ পদাধিকারীদের মতে, প্রত্যেকটি ব্রাঞ্চ গঠনে শাখা সচিবদেরই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শাখা সচিবরা তাদের পছন্দ মতই সহকারি সচিব সহ বাকি সদস্যদের নিয়েছেন। ‌ তবে সূত্রমতে জানা গেছে, প্রতিটি ব্রাঞ্চেই নিজেদের পছন্দের ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করেছে শাসক লবি। এমনকি বি জি এমে একাধিক পরাজিত ব্যক্তিদেরও সদস্য হিসেবে নেওয়া হয়েছে। শাসক লবির পরামর্শ মেনেই পূর্ণাঙ্গ রূপ দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন শাখা কে।

ব্রাঞ্চ গঠনের দায়িত্ব থাকে ব্রাঞ্চ সচিবের কাঁধে। ব্রাঞ্চ সচিব একটি তালিকা তৈরি করে সচিবের কাছে জমা দেন। এই তালিকা তৈরীর ক্ষেত্রে প্রাক্তন খেলোয়াড়দের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এছাড়া যারা আগের কমিটিতে কাজ করেছেন তাদেরও রাখা হয় তালিকায়। গুরুত্ব দেওয়া হয় অভিজ্ঞতাকেও। তবে এবার কিন্তু সেই পরম্পরা মানা হয়নি। বরং সবাইকে খুশি করতে বি জি এমে পরাজিত একাধিক ব্যক্তিদের রাখা হয়েছে বিভিন্ন ব্রাঞ্চের সদস্য হিসাবে। আবার যাদের খেলাধুলার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই, শাসক লবির হস্তক্ষেপে সেইসব তথাকথিত ক্রীড়া প্রেমীদেরও রাখা হয়েছে বিভিন্ন ব্রাঞ্চে।
বিজিএম শেষ হবার পর থেকেই ব্রাঞ্চের সহকারি সচিব তথা সদস্য হবার জন্য একাধিক পরাজিত প্রার্থীর দৌড়ঝাপ শুরু হয়ে গেছিল। অধিকাংশই এতে সফল হয়েছেন। সহকারী শাখা সচিব হিসেবে দায়িত্ব না পেলেও মিলে গেছে ব্রাঞ্চ সদস্য হিসাবে অন্তর্ভুক্তি। বলস বিভাগে রাখা হয়েছে বিজিএমে পরাজিত প্রার্থী সুরজিৎ নাথকে। তিনি এই বিভাগের সচিব শান্তনু রায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন। হকি ব্রাঞ্চে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করার জন্য নির্বাসিত প্রাক্তন হকি সচিব সজল লস্কর কে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই সজল লস্কর বিরোধী পক্ষের লোক। তিনি জিবি ফরমেশনে জি ক্যাটাগরির ক্লাব গুলির ভোটাভুটিতে অন্যতম প্রার্থী ছিলেন। ‌ কিন্তু একেবারে শেষ মুহূর্তে সরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাহলে এবার কি তারই পুরস্কার পেলেন সজল লস্কর! ফিজিক্যাল বিভাগে সদস্য হিসাবে রয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টির অমিতেশ চক্রবর্তী ও দীপজ্যোতি রায়। হকি ছেড়ে ইনডোর ব্রাঞ্চের সদস্য হিসাবে ঠাই পেয়েছেন নিতাই পাল।
এক সুত্র মতে জানা গেছে, সহকারি কোষাধক্ষ্যের জন্য জ্যোতিষ্মান ভট্টাচার্যের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। তবে তিনি সেটা নাকচ করে দিয়েছেন। সংস্থার কোষাধ্যক্ষ বুদ্ধদেব চৌধুরীর বিরুদ্ধে বি জি এমে পরাজিত হয়েছিলেন জ্যোতিষ্মান ভট্টাচার্য। তবে সহকারি কোষাধ্যক্ষের পদের জন্য তার কাছেই প্রস্তাব পাঠায় সংস্থা। জানা গেছে, সংস্থায় একজন অফিস অ্যাসিস্ট্যান্ট রাখা হবে। কারণ নতুন পদাকারীররা নাকি সংস্থা তেমন সময় দেন না! তাই স্থায়ীভাবে একজন অফিস এসিস্ট্যান্ট রাখা হবে। যে মসনদ দখল করার জন্য রাত দিন এক করে দিয়েছিলেন সংস্থার নির্বাচিত সদস্যরা আজ সেই সংস্থার জন্যই সময় নেই নির্বাচিত প্রার্থীদের!

Comments are closed.