করিমগঞ্জ কলেজের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ; লাঠিচার্জের পর পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে
এক ছাত্রীর অভিযোগ অনুযায়ী তার নিজের কলেজের একজন অধ্যাপক তাকে যৌন নির্যাতন করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে বরাক উপত্যকার অন্যতম নামী প্রতিষ্ঠান করিমগঞ্জ কলেজে।
কলেজের শিক্ষার্থীদের মতে, ছাত্রীটি তিনদিন আগে একটি টুকটুকিতে উঠে এবং একই গাড়িতে সহ অধ্যাপক পার্থ সারথি দাসও যাচ্ছিলেন। শিক্ষার্থীরা জানায় যে ঐদিনই অধ্যাপক প্রথম বারের মত অন্যায় ভাবে ছাত্রীটিকে স্পর্শ করেছিলেন। আবার আজ যখন ছাত্রীটি সিঁড়ি দিয়ে উঠছিল তখন অভিযুক্ত অধ্যাপক তার উপর প্রায় উঠে এসেছিলেন। কলেজের অন্যান্য ছাত্র ছাত্রীদের বক্তব্য অনুযায়ী, ছাত্রীটি সজোরে তাকে ধাক্কা দেয় এবং সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার দিতে শুরু করে।
এই ঘটনাটি ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে এবং তারা আন্দোলন শুরু করে দেয়। তারা অভিযুক্ত অধ্যাপকের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাবি জানায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ডাকা হয় এবং পুলিশের শেষ পর্যন্ত তাদের উপর লাঠিচার্জ করতে হয়।সর্বশেষ পাওয়া খবরে জানা যায়, পুলিশ অভিযুক্ত অধ্যাপককে তাদের সঙ্গে নিয়ে যায় এবং এখন বিষয়টির তদন্ত চলছে। এদিকে বায়ো সাইন্স’র সহকারি অধ্যাপক পার্থ সারথি দাস দাবি করেছেন যে তিনি নির্দোষ এবং তাকে মিথ্যে ফাঁসানো হচ্ছে।
তবে যৌন হেনস্থার সঙ্গে দাস’র নাম জড়িয়ে পড়ার বিষয়টি এই প্রথম নয়। কলেজের একজন প্রবীণ অধ্যাপক জানান,চার পাঁচ বছর আগেও আরো একবার দাসের নাম যৌন হেনস্থার সঙ্গে জড়িয়ে ছিল। অধ্যাপক বলেন, ‘দাস তখনও একজন ছাত্রীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় জড়িত ছিলেন। ওই সময় মেয়েটি ঘটনাটির বিষয়ে থানায় অভিযোগ জানাতে ছিল।কিন্তু অভিযুক্ত দাস হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।”
শিক্ষার্থীরা আরও জানায় যে এরপর তিনি ফিনাইল খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। একজন ছাত্র বলে, “তিনি যে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করছেন, যদি তাই হত, তাহলে একজন কেন বাথরুমের ভেতরে নিজেকে আটকে রাখবে। আমরা ছাত্রছাত্রীরা এর ন্যায় বিচার চাই।”
পুলিশ বিষয়টির তদন্ত করছে। শিগগিরই এর সত্যতা প্রকাশ পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
Comments are closed.