Also read in

করিমগঞ্জ কলেজ কান্ড: শিক্ষক পার্থ সারথি দাসের বিরুদ্ধে আনীত যৌন নির্যাতনের অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত

গত ২২শে নভেম্বর করিমগঞ্জ কলেজের শিক্ষক পার্থসারথি দাসের বিরুদ্ধে স্নাতক সেমিস্টারের এক ছাত্রীর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলো কলেজের অভ্যন্তরীণ তদন্তে। দু’দিন আগে সন্ধ্যা রাতে অভব্য আচরণের অভিযোগ এনে ২২শে নভেম্বর কলেজের ভেতরেই শিক্ষককে প্রচন্ডভাবে শারীরিক হেনস্তা করা হয় । কলেজ অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে গালিগালাজ করা হয়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে কলেজ চত্বরে ঢুকতে হয়। শিক্ষককে ঘেরাও করে অকথ্য গালিগালাজ এবং মারধরের দৃশ্য সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে; শিক্ষকের বিরুদ্ধে জনমত সংঘটিত হয়।

এই ঘটনা নিয়ে কলেজ পরিচালন সমিতির তদন্তে শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ মিথ্যে প্রমাণিত হয়। অপরদিকে, এই ঘটনায় মোট চার জন ছাত্রী এবং দুজন ছাত্রের বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় । সাথে, গোটা ঘটনায় মদত দেওয়ার অভিযোগে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অপর এক অধ্যাপক অনুপ দে-কে দুবছরের জন্য কলেজের যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চার জন ছাত্রীকে পরীক্ষার পর ট্রান্সফার সার্টিফিকেট দিয়ে কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হবে। ঘটনায় জড়িত দুজন ছাত্রকে ইতিমধ্যেই কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, ছাত্র-ছাত্রীদের করা যৌন নির্যাতনের অভিযোগে শিক্ষক পার্থসারথি দাসকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর দিন আশ্চর্যজনকভাবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা তুলনায় ছাত্রী। সাথে, শিক্ষককেও ছেড়ে দেওয়া হয়।

এইভাবে শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনে মারধরের ঘটনার পর এই সাধারণ শাস্তিকে অনেকেই গুরু পাপে লঘু দন্ড মনে করছেন।

Comments are closed.