Also read in

শিবকলোনি কাণ্ড: এবার পাল্টা থানা ঘেরাও সজল বণিক বাহিনীর

শিবকলোনি কাণ্ডে বিজেপি কর্মীকে মারধরের ঘটনায় পাল্টা থানা ঘেরাও করলেন এলাকার একাংশ ব্যক্তি। রবিবার সন্ধ্যায় তারা স্থানীয় পুরসদস্য সজল বণিকের হয়ে থানায় স্মারকপত্র পত্র দিয়ে দাবি করেন, ঘটনাটি অতিরঞ্জিত করছে একটি রাজনৈতিক দল।

এলাকাবাসীর তরফের জহর সাহা এদিন বলেন, এলাকায় একাংশ বিজেপি নেতা প্রত্যেক ঘটনাকে রাজনৈতিক মোড় দেওয়ার চেষ্টা করেন। তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাদের পাড়ার ছেলে সজল বণিককে কাঠগড়ায় দাঁড় করান এবং তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। অতীতে রাঙ্গিরখাড়ি পয়েন্টে যে ঘটনা হয়েছিল তার সিসিটিভি ফুটেজ থাকায় সব পরিষ্কার হয়ে যায়। এবার তারা একটি সাধারণ ঘটনাকে অতিরঞ্জিত করে পুলিশ, মামলা ইত্যাদি করছেন। এতে পাড়ার শান্তি নষ্ট হচ্ছে। সেদিন সকালে কি হয়েছিল আমরা সবাই জানি। দুই দল মারধর করেছিলো, পাড়ার দাদা হিসেবে সেখানে গিয়ে তাদের আটকানোর চেষ্টা করেন সজল। রাজনীতির জায়গা আলাদা। তবে এলাকার ছেলে মারধর করলে বড়ভাই হিসেবে কি তার আটকানোর অধিকার নেই? তারা মামলা করেছে, একজন গ্রেফতার হয়েছে, এসব আমরা মেনে নেবনা। তাই আজ পুলিশের কাছে এসে ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছি বলে তিনি উল্লেখ করেন।

উল্লেখ্য, গোপাল দেবনাথ নামের এক বিজেপি কর্মীকে ২০ নম্বর ওয়ার্ডের পুরকমিশনার সজল বণিক ও তার সহযোগীরা শুক্রবার সকালে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠে। গোপাল দেবনাথের স্ত্রী সুমিত্রা দেবনাথ তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সুমিত্রা দেবনাথের বয়ান, শিব-কলোনি এলাকায় সজল বণিক প্রায়ই এভাবে দাদাগিরি করেন। শুক্রবার সকালে সরকারি তরফে পাটোয়ারির একটি দল এলাকায় আসে, এসব দেখতে গোপাল দেবনাথ এবং তার সহযোগীরা এগিয়ে যান। তবে সজল বণিক আচমকা তাদের উপর হামলা করেন এবং গালিগালাজ করেন। তার সঙ্গে এসে যোগ দেয় একদল যুবকও। তারা গোপাল এবং তার সহযোগীদের মারধর করে। এতে আহত হয়ে গোপাল দেবনাথ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন।

এদিকে সজল বণিক এব্যাপারে বলেন, বিজেপি নেতারা এলাকায় মানুষের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এবং আমাদের সরকারও পুলিশের ভয় দেখিয়ে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করে। গত ঘটনায় যেরকম সবকিছু পরিষ্কার হয়ে গেছিল এবারও তাই হবে। তবে আমি তাদের কাছে অনুরোধ রাখব, নিজেদের রাজনীতি করতে গিয়ে এলাকায় অশান্তি ছড়াবেন না।

To read the previous related story, click here

Comments are closed.