Also read in

নিউ হাফলং স্টেশনে অঘটন: ট্রেনে উঠতে গিয়ে পা হড়কে মারা গেলেন শিলচরের সুব্রত পাল

সময় তখন সকাল প্রায় সাড়ে এগারোটা, শিলচর-গৌহাটি ফাস্ট প্যাসেঞ্জারে নিউ হাফলং স্টেশনে গিয়ে একটু নেমেছিলেন সুব্রত পাল, সেই নামাটাই তার কাল হল। ট্রেন তখন চলতে শুরু করেছে, হুইসেলের আওয়াজ শুনে দৌঁড়ে এসে ট্রেনে চাপতে গিয়ে পা হড়কে দুটো কামরার মাঝখানে পড়ে গেলেন। কিছুটা জায়গা টেনে নিয়ে যাওয়ার পর লোকজনের চিৎকারে ট্রেন থামল। কিন্তু ততক্ষণে তার দেহের নিম্নাংশ বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। সবাই টেনে হিচঁড়ে তাকে প্ল্যাটফর্মে তোলার পর তাকে আর জীবিত অবস্থায় পাওয়া যায়নি।

সুব্রত পালের বাড়ি জগন্নাথ ট্র্যাভেলসের বিপরীতে একে চন্দ রোডে। পেশায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী পঞ্চান্ন বর্ষীয় সুব্রত পালের স্ত্রী, এক ছেলে এবং এক মেয়ে বর্তমান; মেয়ে বিবাহিত। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ হাফলং হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে, পিতার মৃতদেহ নিয়ে আসার জন্য উনার পুত্র ইতিমধ্যেই হাফলংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।

এখানে উল্লেখ করা যায়, প্রয়াত সুব্রত পাল বিধায়ক দিলীপ পাল এবং প্রান্তজ্যোতির কর্ণধার নিলয় পালের মামাতুত ভাই। এই হৃদয় বিদারক ঘটনার খবর শিলচরে পৌঁছালে শোকের ছায়া নেমে আসে।

Comments are closed.