
জে কে বরুয়া আন্তঃজেলা অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেটের জোনাল চ্যাম্পিয়ন শিলচর, ফাইনালে দাঁড়াতেই পারলো না হাইলাকান্দি
জে কে বরুয়া আন্তঃজেলা অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেটের জোনাল রাউন্ডে চ্যাম্পিয়ন হলো শিলচর। সোমবার জোনাল ফাইনালে তারা ১৪৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হারায় হাইলাকান্দিকে ।করিমগঞ্জে সরকারি উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে সম্পূর্ণ একপেশে খেতাবি লড়াই জিতে নেয় তথাগত দেব রায় ও দীপঙ্কর দেবের ছেলেরা। শিলচরের জয়ের অন্যতম কারিগর ছিলেন অফস্পিনার পরীক্ষিত বণিক। তিনি ছয়টি উইকেট দখল করে ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতে নেন। মাত্র ২৩ রানের বিনিময়ে হাইলাকান্দির ৬ জন ব্যাটসম্যানকে প্যাভিলিয়নের ফেরান। মূলত পরিক্ষীতের আগুনে বোলিংয়ের সামনে হাইলাকান্দি দল আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। মাত্র ৫২ রানেই তাদের ইনিংস গুটিয়ে যায়।
এর আগে সকালে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২০১ রানের বিশাল স্কোর খাড়া করে শিলচর। যদিও শিলচরের শুরুটা ভালো হয়নি। ইনিংসের তৃতীয় বলেই সাজঘরে ফিরে যান দলের নির্ভরযোগ্য ওপেনিং ব্যাটসম্যান অমন সিং। দলের প্রাথমিক বিপর্যয় শক্ত হাতে মোকাবিলা করেন অন্য ওপেনার পারভেজ মুশারফ ও রাম চন্দ্র দাস। তবে ২৪ রান করে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন পারভেজ। কিন্তু একদিক আগলে রাখেন রাম চন্দ্র দাস। তিনি কঠিন উইকেটে ৬৩ রানের দুরন্ত হাফসেঞ্চুরির ইনিংস খেলেন। এছাড়াও মিডল অর্ডারে কার্যকর ইনিংস খেলেন সমীর সিনহা (৪৬)। প্রশান্ত কুমারও ৩২ রানের একটি ক্যামিও খেলে দলকে দুশো রানের গণ্ডি পার করাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। হাইলাকান্দির অরিন্দম দেব এবং বিশাল নাগ উভয়ে তিনটি করে উইকেট দখল করেন।
জবাবে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে হাইলাকান্দি। দলের নির্ভরযোগ্য ওপেনিং ব্যাটসম্যান রজ্জিত পাল চৌধুরী ইনিংসের তৃতীয় বলেই সাহিল হুসেনের বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যান। এই প্রাথমিক ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারেনি হাইলাকান্দি। দলের ছয় জন ব্যাটসম্যান খাতাই খুলতে পারেননি। ডান হাতি অফ স্পিনার পরীক্ষিত বণিকের সামনে কোনো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি হাইলাকান্দির ব্যাটসম্যানরা। তাঁকে যোগ্য সহায়তা করেন পারভেজ মুশারফ। তিনি চার ওভারে দুটি মেডেন দিয়ে ৮ রানে মূল্যবান তিনটি উইকেট লাভ করেন। অতিরিক্ত থেকে দলীয় খাতায় ২৯ রান যোগ না হলে হাইলাকান্দির কপালে আরো দুঃখ ছিল।
এই জয়ের সুবাদে ফাইনাল রাউন্ডে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল শিলচর। ফাইনাল রাউন্ডের দিনক্ষণ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এদিকে দলের প্রদর্শনে খুশি শিলচরের অন্যতম কোচ তথাগত দেব রায়। তিনি বলেন, ‘উইকেট খুবই কঠিন ছিল। তারপরও আমাদের ছেলেরা দারুন ক্রিকেট উপহার দিয়েছে। দলের প্রদর্শনে আমি খুশি।’
জে কে বরুয়া ক্রিকেটের সাউদার্ন জোনের আসর এর সফল আয়োজন করলেও করিমগঞ্জের সরকারি উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠের পিচ নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন উঠছে। আন্তঃজেলা ক্রিকেটের আসরে প্রথম ম্যাচ থেকেই উইকেট অস্বাভাবিক আচরণ করেছিল। বল নিচু হয়ে আসছিল। এমন কন্ডিশনে উঠতিরা কতটা নিজেদের মেলে ধরতে পেরেছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
Comments are closed.