Also read in

সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞা মানলনা শিলচর, তবে শব্দদূষণ কমেছে

কালী পুজো এবং দীপাবলী উপলক্ষে বাজি পটকা ফাটানোর রীতি-প্রথা অনেকদিন ধরে চলে আসছে। তবে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট এবার দীপাবলীর রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত এবং ক্রিসমাস ও নববর্ষের জন্য রাত ১১-৫৫ থেকে ১২-৩০ পর্যন্ত কম দূষণ মাত্রার বাজি পটকা ফোটানোর অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু গত কাল ৮ টা থেকে ১০টার এই সময় সীমা তো মানাই হয়নি উপরন্ত উচ্চ ডেসিবেলের বাজিও ফেটেছে আকছার।

গতকাল দেওয়ালির রাত্রে আলো ঝলমল পরিবেশে সূর্যাস্তের পর থেকেই বাজি ফোটানো শুরু হয় এবং চলে গভীর রাত পর্যন্ত। তবে রাত্রে দশটার পরে বাজি ফুটানোর মাত্রা কমে আসে। দশটার পর বাজি ফুটানোর অপরাধে শহরে সাত জনকে পাকড়াও করা হয়েছে।

শহরের ছয়টি জায়গায় শব্দ দূষণের মাত্রা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। অফিস পাড়ায় সর্বনিম্ন সূচক ছিল ৬৪ ডেসিবেল, সর্বোচ্চ ৭৭ ডেসিবেল; অম্বিকা পট্টিতে সর্বনিম্ন ৭৫, সর্বোচ্চ ৮১; জানিগঞ্জে সর্বনিম্ন ৭৮ , সর্বোচ্চ ৮৭; ঘুঙ্গুর মেডিকেল মোড়ে সর্বনিম্ন ৭১ সর্বোচ্চ 78; তারাপুরে সর্বনিম্ন ৭১ সর্বোচ্চ ৮৪; ইটখলায় সর্বনিম্ন ৭৮, সর্বোচ্চ ৮৮। গড় হিসাবে শহরের হিসেবটা দাঁড়ালো সর্বনিম্ন ৭৩ ডেসিবেল এবং সর্বোচ্চ ৮২ ডেসিবেল। তবে এই পরিসংখ্যান বলছে বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবারের শব্দ দূষণের মাত্রা অনেক কমে এসেছে।

জেলাশাসক এস লক্ষণন এ ব্যাপারে সংবাদ মাধ্যমকে জানান, “কালীপূজাকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের মধ্যে বাজি পটকা নিয়ে উৎসাহ থাকে। দেশের সর্বোচ্চ আদালত নিয়ম বেঁধে দিয়েছেন রাত ৮ টা থেকে ১০ টা পর্যন্তই পটকা বাজি ফাটানো চলবে । আমরা চেষ্টা করছি সারা জেলায় এ ব্যাপারে কড়া নজরদারি রাখার, তবে সাধারণ মানুষকে আদালতের নির্দেশ এবং নিজেদের চারপাশে সুরক্ষার কথা ভেবে সংযত থাকার চেষ্টা করা উচিত।”

Comments are closed.