
শিলচর ডিএসএর মুকুটে নতুন পালক, চালু হলো অত্যাধুনিক জিমনাসিয়াম
জেলা ক্রীড়া সংস্থার মুকুটে যোগ হল আরেকটি পালক। যাত্রা শুরু করল অত্যাধুনিক জিমনাসিয়াম। এই জিমনিসিয়াম তৈরি করে দিয়েছেন সংস্থার সাধারণ পরিষদের সদস্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ী প্রণয় বণিক। অত্যাধুনিক এই জিমনাসিয়াম হল উৎসর্গ করা হয়েছে প্রণয় বণিকের পিতা প্রফুল্ল চন্দ্র বণিকের স্মৃতিতে।
সংস্থার প্রবেশমুখে তৈরি হয়েছে এই ঝাঁ-চকচকে জিমনাসিয়াম হল। শুধু এই হল নয়, সংস্থার প্রবেশদ্বার টাও নতুন করে সেজে উঠেছে। রবিবার ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে এই জিমনাসিয়ামের উদ্বোধন করেন প্রণয় বণিকের মা গীতা রানী বণিক। সঙ্গে ছিলেন শিলচর রামকৃষ্ণ মিশনের প্রধান গণদিশানন্দ জী মহারাজ।
জিমনাসিয়াম হল নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন গুয়াহাটির আর্কিটেক্ট অমিতাভ শর্মা। এই জিমনাসিয়ামে থাকবে সংস্থার ফিজিক্যাল শাখার অধীনে। সংস্থার সচিব বিজেন্দ্র প্রসাদ সিং জানান, সংস্থার প্রাক্তন সচিব সুবিমল ধর এই জিমনাসিয়াম তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সুবিমল ধর এর কার্যকালে জিমনাসিয়াম তৈরি করার প্রস্তাব জি বি তে পাশ হয়ে যায়। গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জিমনাসিয়ামের ইকুপমেন্ট কেনার জন্য ব্যাংক থেকে ১৪ লক্ষ টাকা লোন নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে জিমের সামগ্রী ক্রয়ে খরচ হয়েছে ১৩.৮ লক্ষ। যে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে জিমখানা ইকুপমেন্ট কেনা হয়েছে সেই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার সুদর্শন সারদা একটি আইটেম নিজের দাদুর নামে উৎসর্গ করেছেন। এজন্য তিনি দিয়েছেন ১.৩ লক্ষ টাকা। এই জিম হবে পুরোপুরি কমার্শিয়াল। তবে জেলা দলের খেলোয়াড়দের জন্য এটা ফ্রি রাখা হয়েছে। এছাড়া জেলা দলের প্রতিনিধিত্ব করা খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে মাসিক ফির ৫০% রেহাই দেওয়া হবে। যদিও বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
বিজেন্দ্র জানান, এই জিমনাসিয়াম আরো আগেই তৈরি হয়ে যেত। তবে এ ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায় করোনা মহামারী। এই জিমনাসিয়াম নিয়ে শুরুতে কাজ করেছেন প্রাক্তন সচিব সুবিমল ধর। তবে কয়েক মাস পরই সংস্থার কমিটি পরিবর্তন হয়ে যায়। দায়িত্বভার গ্রহণ করেন বিজেন্দ্র। আর দায়িত্ব নিয়েই এই জিমনাসিয়াম তৈরির জন্য মাঠে নেমে পড়েন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, বিজেন্দ্র নেতৃত্বাধীন কমিটির অধীনে কিন্তু সংস্থার পরিকাঠামোতে আমূল পরিবর্তন এসেছে। ঝাঁ-চকচকে আধুনিক কনফারেন্স হল, কর্পোরেট হাউজের আদতে প্রশাসনিক ভবন, গেস্ট রুম, স্পোর্টস লাইব্রেরী কাম আর্কাইভ আর এবার অত্যাধুনিক জিমনাসিয়াম, এই সবই কিন্তু হয়েছে বিজেন্দ্রর কার্যকালে। তাও আবার করোনাকালে। এখানেই শেষ নয়, খুব শীঘ্রই সংস্থার সচিব দের ঝাঁ-চকচকে আধুনিক রুম এবং ৪০ বেডের একটি হোস্টেলেরও যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে। বিজেন্দ্র আরো জানান, এই জিমনাসিয়াম তৈরি হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় খেলোয়াড়রা খুবই লাভবান হবে।
Comments are closed.