বদরপুর- লামডিং ট্র্যাক সংস্কারের কাজ সম্পন্ন, পরীক্ষামূলক ভাবে ইঞ্জিন চলল আজ
১৭ দিনের কঠোর পরিশ্রমের পর শিলচর লাইডিং ট্র্যাকে আজ পরীক্ষামূলকভাবে রেল-ইঞ্জিন চালানো হলো।অবিরাম বৃষ্টিপাতের ফলে পাহাড়ি এলাকা মুপা এবং মাইবং স্টেশনের মধ্যের ক্ষতিগ্রস্ত রেল ট্র্যাকের সংস্কারের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর আজ এই ট্র্যাকের উপর দিয়ে প্রথমবারের মতো রেল ইঞ্জিন চালিয়ে ট্র্যাক পরীক্ষা করা হয়।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের জনসংযোগ অফিসার নৃপেন ভট্টাচার্য বরাক বুলেটিনের সঙ্গে দূরাভাষে কথোপকথনে এ বিষয়ে নিশ্চিত করে বলেন, খুব শিগগিরই এই ট্র্যাকে মালবাহী ও যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হবে। আজ মেরামত করা অংশের উপর দিয়ে ইঞ্জিন চালিয়ে পরীক্ষা করা হলো। তিনি আরো জানান যে তারা এই ট্র্যাকের ফিটনেস সার্টিফিকেটের জন্য অপেক্ষা করছেন। এরপর ট্র্যাকটি ব্যবহারের জন্য খোলে দেওয়া হবে।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, ট্র্যাকের মূল অ্যালাইনমেন্ট সংস্কারযোগ্য না হওয়ায় ট্র্যাক এলাইনমেন্টকে ১০০ থেকে ১৫০ মিটার পাহাড়ের দিকে সরিয়ে নিতে হয়।ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী ট্র্যাকের একদিকে পার্বত্য অঞ্চল রয়েছে এবং অন্যদিকে শাখা নদী বয়লা বয়ে চলেছে। এই অবস্থায় এনএফ রেলওয়ে এই নদীর তীর যাতে আরও নষ্ট না হয়ে যায় সে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
এদিকে এনএফ রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার ও অন্যান্য কর্মকর্তারা গতকাল ক্ষতিগ্রস্ত স্থানটি পরিদর্শন করেন এবং কাজকর্ম পর্যালোচনা করেন। কাজ পরিদর্শন করে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় যাত্রীবাহী রেল চলাচলের ব্যাপারে কোনও নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করেননি। তবে তিনি আশ্বস্ত করেন যে রেলকর্মীরা দিনরাত কাজ করছেন পুনরায় রেল চলাচল শুরু করার জন্য।
এখানে আরো উল্লেখ করা যেতে পারে,অবিরত বৃষ্টিপাতের ফলে পার্বত্য এলাকা মুপা এবং মাইবং রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যের ট্র্যাক জলে ডুবে যাওয়ার ফলে রেল চলাচল ব্যাহত হয়। ফলে উত্তর পূর্বাঞ্চলের তিনটি রাজ্য ত্রিপুরা, মনিপুর এবং মিজোরাম রেল যোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অন্যদিকে ১৬ জুন থেকে আবার রেল চলাচল শুরু হওয়ার কথা থাকলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পুনরায় রেল চলাচল শুরু হওয়ার ক্ষেত্রে বিলম্ব হচ্ছে।
Comments are closed.