
নুরুদ্দিনের ফাইনালে চালকের আসনে শিলচর, চাপের মধ্যে সঞ্জু-জয়দীপের দুরন্ত ব্যাটিংয়ে প্রথম ইনিংসে লিড
দ্বিতীয়বারের মতো নুরুদ্দিন ট্রফি সিনিয়র আন্তঃজেলা ক্রিকেটে খেতাব জয়ের মঞ্চ গড়ে নিল শিলচর। মঙ্গলবার গুয়াহাটির বর্ষাপাড়া স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিনের শেষে বিশ্বনাথ চারিয়ালির দ্বিতীয় ইনিংসের স্কোর ছিল চার উইকেটে ৯০। ইনিংসের ব্যবধানে হার এড়াতে এখনো তাদের দরকার আরও ১১ রান। হাতে রয়েছে ছয় উইকেট। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা ইতিমধ্যে সাজঘরে ফিরে গেছেন। এমন পরিস্থিতি থেকে ম্যাচটা বাঁচানো বিশ্বনাথ চারিয়ালি জন্য খুবই কঠিন হবে। শিলচরের দুরন্ত বোলিং লাইন আপের সামনে দ্বিতীয় ইনিংসেও প্রচণ্ড চাপে রয়েছে তারা।
এর আগে সকালে ওভার নাইট স্কোর তিন উইকেটে ৫৭ থেকে দিনের খেলা শুরু করে শিলচর। তবে শুরুতেই প্রচণ্ড চাপে পড়ে যায় তারা। ওভারনাইট স্কোরের সঙ্গে কোনো রান যোগ করার আগেই ফিরে যান বাঁহাতি ওপেনার শুভম মণ্ডল (৫৩)। খাতা খোলার আগেই ফিরে যান অমিত যাদব ও। ৫৭ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে তখন প্রচন্ড চাপে শিলচর। প্রথম ইনিংসের মহামূল্যবান লিড নেওয়ার স্বপ্ন দেখছিল বিশ্বনাথ চারিয়ালি।
এমন কঠিন পরিস্থিতিতে দলের হাল ধরেন সঞ্জু ব্রহ্ম ও জয়দীপ সিং। চাপের মধ্যে দুজনেই দুরন্ত ব্যাটিং করেন। উভয়ই রিক্স ফ্রি ক্রিকেট খেলেছেন। সোজা ব্যাটে খেলে সিঙ্গলের উপরে জোর দিয়েছেন। দুজনের মধ্যে বেশি আগ্রাসী ছিলেন সঞ্জু। তিনি স্ট্রাইক রোটেট করার দিকেই মনোনিবেশ করেছেন। আবার একটু লুজ বল পেলেই সেটা কে উচিত শিক্ষা দিয়েছেন। অন্যদিকে, গোটা টুর্নামেন্টের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ফাইনালেও চাপের মধ্যে দারুন ব্যাটিং করলেন জয়দীপ। আজ অর্ধশত রানের ইনিংসে একটিও লফটেড শট খেলেননি তিনি। এর আগে তিনসুকিয়া এবং তেজপুরের বিরুদ্ধেও চাপের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছিলেন জয়দীপ। এদিন সঞ্জু খেলেন ৬২ রানের ঝকঝকে হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস। আর জয়দীপ খেললেন ৬৫ রানের কম্প্যাক্ট হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস। ষষ্ঠ উইকেট এর জন্য এই দুজন যোগ করেন মহামূল্যবান ৯০রান। যা শিলচর দলকে এনে দেয় ১০১রানের প্রথম ইনিংসের লিড।
এই দুজনের পার্টনারশিপে শিলচর শুধু ঘুরে দাঁড়ায়নি, বরং জয়ের একটা মঞ্চ তৈরী করে নেয়। অধিনায়ক শমীক দাস করেন ১১। লোয়ার মিডল অর্ডারে ২১ রানের কার্যকর ইনিংস খেলেন রাম দাস। শিলচর তাদের প্রথম ইনিংসে অলআউট হয় ২২৩ রানে।
১০১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে বিশ্বনাথ চারিয়ালি। তবে এখন পর্যন্ত তারা চাপ কাটিয়ে উঠতে পারেনি। বরং চার উইকেট হারিয়ে দিনের শেষে আরো চাপে পড়ে গেছে। দারুণ বোলিং করেছেন রাম দাস (৩-৯)। অধিনায়ক শমীক দাস পেয়েছেন এক ক্রিকেট। এখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে অলৌকিক কিছু করতে হবে বিশ্বনাথ চারিয়ালি কে। উল্টোদিকে, দ্বিতীয় দিনের শেষে অনেকটাই চাপমুক্ত শিলচর। তারা সরাসরি জয় দিয়েই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখছে।
Comments are closed.