Also read in

শিলচর স্টেশন: অসমীয়া সরিয়ে বাংলায় লিখে আবার যথাস্থানে হোর্ডিং লাগালো প্রশাসন

শিলচর রেলওয়ে স্টেশনে বিতর্কিত পোস্টার সরানো হয়েছিল আগেই। এবার বাংলা হরফে লেখা হয়ে ফিরে এসেছে, তবু রয়ে গেছে ভুল।

জল জীবন মিশনের কাছাড় অফিস রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে বিজ্ঞাপনের একটি হোর্ডিং লাগিয়েছিল। বিজ্ঞাপনটি অসমিয়া ভাষায় ছিল এবং এটি সমগ্র রাজ্যব্যাপী এক বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল। বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট এবং অল বাঙালি ইয়ুথ স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশনের সদস্যরা প্রতিবাদ হিসেবে পোস্টারটি বিকৃত করে। এ নিয়ে তীব্র বিতর্ক এবং এফআইআর-এর পরে কাছাড় পুলিশ এবিএসও -র কয়েকজন সদস্যকে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে।

তীব্র বিতর্কের পরে পরেই প্রশাসন সেই বিতর্কিত কথা বিকৃত হোর্ডিং খুলে নিয়েছিল। হোর্ডিংটি আবার যথাস্থানে ফিরে এসেছে, এখন এটাতে স্পষ্ট বাংলায় লেখা রয়েছে। তবে এত সব কাণ্ডের পরেও বিতর্ক যেনো পিছু ছাড়ছে না; মিশনের জায়গায় ‘মিছন’ শব্দটি রয়ে গেছে। ছোট হরফের এই বাক্যটিতে লেখা রয়েছে, “আসুন, এই মিছনের সুবিধা গ্রহণ করে ঘরে ঘরে খাবার জলের ব্যবস্থা করুন।”

 

উল্লেখ্য , বিক্ষোভকারীদের যুক্তি ছিল যে, আসাম সরকার বরাকে অসমিয়া ভাষা চাপিয়ে দিচ্ছে। তদুপরি, তারা বলেছিলেন যে অবিভক্ত কাছাড় জেলা অর্থাৎ বর্তমান বরাক উপত্যকার সরকারী ভাষা হিসাবে বাংলাকে সুরক্ষিত করতে যে এগারোজন শহীদ তাদের জীবন দিয়েছেন।

বরাক এবং ব্রহ্মপুত্র, উভয় উপত্যকার বুদ্ধিজীবীরা তাদের এই কাজের সমালোচনা করেছিলেন। শিলচর এবং গুয়াহাটিতে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল।

বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের প্রতিষ্ঠাতা প্রদীপ দত্ত রায় বাঙালি জনগণের জনপ্রিয় অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য জল জীবন মিশনের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন। এছাড়াও, ঐ অভিযোগে বলা হয়েছে যে, এটি ভাষা আইনের লঙ্ঘন কারণ ঐ আইন অনুযায়ী সরকারি যোগাযোগের জন্য বাংলার ব্যবহার বাধ্যতামূলক।

বাংলা হোর্ডিং দিয়ে ব্যানার বদলে দেওয়ায় জেলা প্রশাসন তার ভুল স্বীকার করেছে বলে মনে হচ্ছে।

Comments are closed.