Also read in

মশার কয়েল থেকে আগুন লেগে প্রাণ হারালেন কনকপুরের গৃহবধূ

মশার কয়েল থেকে আগুন লেগে প্রান প্রাণ হারালেন এক মাঝবয়সী গৃহবধূ। শিলচরের কনকপুর সংলগ্ন এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে। ‌ পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মশার কয়েল থেকে আগুন লেগে প্রাণ হারিয়েছেন অঞ্জলি দাস নামের এক গৃহবধূ। তাকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন তার স্বামী সঞ্জয় দাস। মহিলার দুই বছরের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। ঘটনায় পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

জানা গেছে, নতুন বছরের রাতে পরিবারের লোকেরা অনেক দেরি করে ঘুমিয়েছেন, কিছুটা উৎসাহ নিয়ে প্রত্যেকেই রাত কাটাচ্ছিলেন। অঞ্জলি দাস ঘরের সোফায় বসে ছিলেন এবং তার পাশে একটি মশার কয়েল জ্বালানো ছিল। অসাবধানতায় সেই কোয়েল থেকে তার শাড়িতে আগুন লাগে এবং সেটা ছড়িয়ে পড়ে সোফায়। ক্লান্ত হয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় থাকায় প্রথম দিকে আগুন লক্ষ্য করতে পারেননি অঞ্জলি দাস, কিন্তু যখন আগুন দেখা যায় ততক্ষনে দেরি হয়ে গেছে। আগুন তার পুরো শাড়িতে লেগেছে এবং সেটা তাকে জ্বালাতে শুরু করেছে। ঘটনা দেখে তার স্বামী সঞ্জয় দাস বাঁচানোর জন্য এগিয়ে যান এবং তিনিও আগুনে অনেকটাই ঝলসে গেছেন। রাতেই স্বামী এবং স্ত্রীকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ডাক্তাররা বলেন স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে এবং স্বামী অত্যন্ত গুরুতর ভাবে আহত। সঞ্জয় দাসের চিকিৎসা চলছে তবে তার স্ত্রীর মৃত্যুতে পরিবার মানসিকভাবে অনেকটাই ভেঙে পড়েছে।

অসাবধানতাবশত আগুন লেগে যাওয়ায় দুই বছরের সন্তানকে রেখে ইহলোক থেকে বিদায় নিয়েছেন বছর ৩৩-য়ের অঞ্জলি দাস। ঘটনায় এলাকার মানুষ অত্যন্ত মর্মাহত। অনেকেই বলছেন, এমন ঘটনা আমরা একেবারেই আশা করিনি। একটা বছর করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থেকে কাটিয়ে নতুন বছরে নতুনভাবে বাঁচতে চেয়েছিলাম আমরা, তবে সামান্যতম অসাবধানতাবশত কম বয়সে প্রাণ হারাতে হয়েছে অঞ্জলি দাস নামে গৃহবধূকে।

তার মৃতদেহ শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে, শরীরের বেশিরভাগ অংশ জ্বলে গেছে তবু তার পোস্টমর্টেম করা হবে। তার স্বামী সঞ্জয় দাস মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন, তিন বছরের সন্তানকে নিয়ে তার মা-বাবা শুধুমাত্র খানিকটা অসাবধানতার জন্য জীবন মৃত্যুর দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছেন। এই ঘটনা আবার আমাদের সাবধান করে দিচ্ছে ছোটখাটো ভুল জীবনের অনেক বড় ক্ষতি করে দিতে পারে।

Comments are closed.

error: Content is protected !!