Also read in

ফেবারিট নভোটিয়াস শিলচর কে ছিটকে দিয়ে বিপিএলের ফাইনালে বরাক বুলেটিন স্ট্রাইকার্স, মেগা ফাইনালে উঠলো হাইলাকান্দি গ্লেডিয়েটরসও

কাগজ কলমে শুধু ভালো দল গড়লেই হয় না। মাঠে নেমে পারফর্ম করাটাই আসল। এই না হলো ক্রিকেট। ঠিক এই কাজটাই করে দেখালো বরাক বুলেটিন স্ট্রাইকার্স। বিপিএল সিজন সিক্সে এই দলটাকে নিয়ে খুব কমই আলোচনা করেছিলেন। সব দিকেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল টুর্নামেন্টের হট ফেভারিট নভোটিয়াস ইলেভেন শিলচর। হবারই কথা, যে দলটাতে বিবেক সিং, বিরাট সিং, প্রীতম দাস, স্বরুপম পুরকায়স্থ, কৌশিক গিরি এবং অভিষেক ঠাকুরির মতো তারকা রয়েছেন সেই দলটাকে নিয়ে আলোচনা তো হবেই। স্বাভাবিকভাবেই বিপিএলের প্রথম সেমিফাইনালে হট ফেভারিটের ট্যাগ নিয়ে খেলতে নেমেছিল নভোটিয়াস। কিন্তু দুরন্ত অলরাউন্ড ক্রিকেট উপহার দিয়ে বাজিমাত করল বরাক বুলেটিন স্ট্রাইকার্স। চার উইকেট এর দুরন্ত জয় নিয়ে তারা ছিনিয়ে নিল বিপিএল সিজন সিক্স এর ফাইনালের টিকিট।

আগামীকাল ফ্লাড লাইটে খেতাবী লড়াইয়ে স্ট্রাইকার্স খেলবে হাইলাকান্দি ক্র্যাক গ্লেডিয়েটরস এর বিরুদ্ধে। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে হাইলাকান্দির দলটি ২৭ রানে হারিয়েছে আশরিন ব্লসম কাটিগড়াকে।

শনিবার সকালে এসএম দেব স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বরাক বুলেটিন স্ট্রাইকার্স। ব্যাটিং এর আমন্ত্রণ পেয়ে ছয় উইকেটে ১৩০ রানের স্কোর খাড়া করে নভোটিয়াস। আসলে এদিন শুরু থেকেই দারুণ ছন্দে বোলিং করেন স্ট্রাইকার্সের বোলাররা। ‌ নতুন বলে অধিনায়ক সমীক দাস উইকেট না পেলেও রানের গতি বাড়তে দেননি। ‌ নভোটিয়াসের পক্ষে হাফ সেঞ্চুরি করেন বা হাতি ব্যাটসম্যান বিবেক সিং। তিনি করেন ৫৬। এছাড়া এহসান জামাল করেন ৩২। ‌ আইপিএল তারকা বিরাট সিং (১) কোন কামাল করতে পারেননি।

শুরু থেকেই দারুন বোলিং ফিল্ডিং করে বরাক বুলেটিন স্ট্রাইকার্স। শেষ চার ওভারের কথা ছেড়ে দিলে নভোটিয়াসের রান রেট ছয় এর উপর উঠতে পারেনি। দারুন বৈচিত্র্যের সঙ্গে বোলিং করেন স্ট্রাইকার্সের বোলাররা। ‌ সঙ্গে ছিল দুর্দান্ত ফিল্ডিং এবং কেচিং। তিন উইকেট নেন শুভম সরকার (৩-২৩)।

জবাবে বরাক বুলেটিনের শুরুটাও ভালো হয়নি। অমন সিং (১০) ও শমীক দাস (৪) শুরুতেই ফিরে যান। এরপর দলের হাল ধরেন দুই বাঁ হাতি শুভম দে ও পারভেজ আজিজ। এই দুজনের পার্টনারশিপে দারুণভাবে লড়াইয়ে ফিরে আসে স্ট্রাইকার্স। একটা সময় তো মনে হচ্ছিল এই জুটি দলকে জয় এনে দিয়েই মাঠ ছাড়বে। তবে বড় শট হাকাতে গিয়ে সাজঘরে ফিরে যান পারভেজ আজিজ (৩৫)। কিছু সময়ের মধ্যেই ফিরে যান শুভম দে-ও (৪৫)। এই দুই উইকেটের সঙ্গে ম্যাচে ফিরে আসে নবটিয়াস। এরপর চাপের মধ্যে ব্যর্থ হন শুভম সরকার ও রাজকুমার পাল। শেষ তিন ওভারে স্ট্রাইকার্স এর দরকার ছিল ২৭। ঠিক এমন সময়ে ঠান্ডা মাথায় ম্যাচ বের করে নেন বাংলার তারকা অর্ণব নন্দী। ৯ বলে ২৩ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন তিনি। ‌ ভালো সঙ্গ দেন সন্দীপন দাস। দুরন্ত বোলিং করলেও দলকে জয় এনে দিতে পারেননি বা হাতি স্পিনার অভিনব চৌধুরী। ৫ উইকেট শিকার করেন তিনি (৫-২০)।

দ্বিতীয় সেমিফাইনালে হাইলাকান্দি দলটি প্রথমে ব্যাট করে আট উইকেটে ১৫১ রান করে। ‌ প্রতিপক্ষকে আরো কমরানে গুটিয়ে দিতে পারতো কাটিগড়ার দলটি। কিন্তু দুর্বল ফিল্ডিং এর জন্য সেটা সম্ভব হয়নি। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিং করলেন ত্রিপুরার তারকা উদীয়ন বোস (২৭ বলে ৪৪)। রজত দে করেন ২৯। জবাবে নয় উইকেটে ১২৪ রানে আটকে যায় আশরিন ব্লসম। সৌম্যদীপ দাস দলের পক্ষে সর্বাধিক ৩৬ রান করেন। এছাড়া বিজয় দেব করেন ২৭। ‌ চার উইকেট শিকার করেন সুনীল লাচিত (৪-১৭)।

Comments are closed.

error: Content is protected !!