Also read in

গত বছরের ভয়াবহ বন্যার পরেও বেতুকান্দি বাঁধ মেরামত এখনও সাত বাঁও জলে

শিলচর গত বছর পরপর দুবার বিধ্বংসী বন্যার সম্মুখীন হয়েছিল, বরাক নদীর জল অনেক বাড়িঘর ডুবিয়েছিল, চূড়ান্ত দুঃখ-কষ্ট ভোগ করেছিলেন শিলচরের জনগণ । বন্যা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া ঠেকাতে কয়েকদিন ধরে শহরের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল। রাস্তাগুলো বন্যার জলের নিচে চলে যাওয়ায় নৌকাই হয়ে উঠেছিল পরিবহনের প্রধান মাধ্যম। বন্যার অন্যতম প্রধান কারণ ছিল গত বছরের মে মাসে বেতুকান্দির ভাঙ্গা (কেটে দেওয়া) বাঁধ দিয়ে নদীর জল ঢোকা।

বন্যার পরে, আসামের মুখ্যমন্ত্রী ডঃ হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, শিলচরের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ এই বন্যার জন্য দায়ী লোকেদের সনাক্ত করার জন্য একটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। বেতুকান্দিতে বাঁধের ক্ষতির ঘটনায় চারজনকে আটক করে পুলিশ।

Bethukandi- presently
Bethukandi-presently

শীতের মৌসুম শেষ হয়ে বসন্ত চলছে, কিছুদিন পরেই আসবে গ্রীষ্ম-বর্ষা। কিন্তু বাঁধটি এখনও মেরামত করা হয়নি যা শহরটিকে আরেকটি বন্যার বিপর্যয়ের ঝুঁকিতে ফেলেছে।

সম্প্রতি বরাক উপত্যকায় অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাঁধ মেরামতের জন্য ৫৯ কোটি টাকা বরাদ্দ হলেও এখনো সেই অর্থে কাজ শুরুই হয়নি। তাই আগামী বর্ষাকাল শুরু হলে শহরের বাড়িঘর আবারও প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কাছাড় যুব কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রাজা লস্কর বেতুকান্দি পরিদর্শন করে এই নিয়ে তার হতাশা প্রকাশ করে বলেন যে গত বছরের বন্যায় কোনও বাড়িই অক্ষত ছিল না। সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, “বন্যার সময় মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রী, বিধায়ক, ক্লাব এবং এনজিওদের একাধিক সফর সত্ত্বেও বেড়িবাঁধ মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। যদি বেড়িবাঁধটি দ্রুত মেরামত করা না হয়, তাহলে আসন্ন মরশুমে গত বারের চেয়েও আরো ভয়ংকর দুর্যোগ ঘটতে পারে। আবার বন্যা হলে শিলচরের প্রতিটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমি পরামর্শ দিচ্ছি যে, সরকার অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলে আসন্ন বন্যাকে “রাজনৈতিকভাবে তৈরি বন্যা” হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে।”

Comments are closed.

error: Content is protected !!