উদ্বোধন ১৩ জুলাই, এসএলআরএম প্রজেক্ট 'স্বচ্ছ শিলচর'-এর অন্য নাম হয়ে উঠতে পারে
শিলচর শহরে সলিড লিকুইড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট( এসএলআরএম) পাইলট প্রজেক্টের উদ্বোধন হতে চলেছে আগামী ১৩ জুলাই। উদ্বোধনে আসতে পারেন রাজ্যের নগর উন্নয়ন মন্ত্রী পীযুষ হাজারিকা। এমন অনেক প্রকল্প আগেও উদ্বোধন হয়েছে, তবে এই প্রকল্পে রয়েছে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ। আপাতত শিলচর পৌরসভা এলাকার ৬টি ওয়ার্ডে শুরু হচ্ছে এই পাইলট প্রজেক্ট। পরে সবকটি ওয়ার্ড এই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে, খোলা হবে আরও পাঁচটি এসএলআরএম সেন্টার। স্বচ্ছ ভারত মিশনের অধীনে ২০১৮ সালে শিলচর পুরসভার জন্য বরাদ্দকৃত ৩ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা থেকে এই প্রকল্পের জন্য অর্থ দেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে প্রকল্পটি শুরু করতে এসেছে আটটি ট্রাইসাইকেল ও ৫০০০ ডাস্টবিন।
জাতীয় স্তরের বিশেষজ্ঞ সি শ্রীনিবাসন শিলচর এসে বেশ কিছুদিন পর্যালোচনা করে এই প্রকল্পের নীল নকশা তৈরি করেছেন।
এই প্রকল্প অনুযায়ী, আপাতত ১,২,৩,৪,৬ এবং ২৪ নং ওয়ার্ডের নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় প্রতিটি বাড়িতে দুটি করে ডাস্টবিন দেওয়া হবে। একটিতে ভেজা এবং অন্যটিতে শুকনো আবর্জনা রাখতে হবে। ট্রাই সাইকেল গুলো প্রতিটি বাড়ি থেকে এই বর্জ্য সংগ্রহ করে শহরের ট্রাংক রোডের পুরনো বিআরটিএফ অফিসে নতুন করে খোলা এসএলআরএম সেন্টারে নিয়ে যাবে। বাড়িতে জমানো আবর্জনা নিয়ে যেতে প্রতিদিন সকালে বিকালে দুবার করে যাবে একটি করে ট্রাই সাইকেল।
এই আবর্জনা ট্রাঙ্ক রোডের সলিড লিকুইড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট সেন্টারে বাছাই করা হবে। ভাত-তরকারির মত খবরগুলো হাঁস-মুরগি পালনে ব্যবহার করা হবে, শাকসবজি খেতে দেওয়া হবে গরুকে, বাকি জৈবিক বর্জ্য গুলো দিয়ে পচন সার তৈরি করা হবে। অজৈবিক কঠিন বর্জ্যের মধ্যে প্লাস্টিক, লোহা, টিন, পলিথিন সেনিটারী সামগ্রী কাচের জিনিস, রাবার, চামড়া, কাপড় এগুলোকে ভাগ করে জমিয়ে গুয়াহাটিতে পাঠানো হবে বিক্রির জন্য।
এই প্রকল্প রূপায়ণের জন্য ইতিমধ্যেই বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন এনজিওর ৪০০ জন সদস্যকে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে শহর শিলচরের কঠিন বর্জ্য নিয়ে যে সমস্যায় হিমশিম খাচ্ছে বিভিন্ন সংস্থা, তার একটা স্থায়ী সমাধান হবে এতে কোন সন্দেহ নেই। তবে সচেতন সুধী নাগরিকদের সক্রিয় সহযোগিতা এক্ষেত্রে বিরাট বড় ভূমিকা পালন করবে ।
Comments are closed.