
"অপরিপক্ক আয়ুর্বেদিক চিকিৎসককে অপারেশন থিয়েটারে মেনে নেওয়া বিপজ্জনক," মিক্সোপ্যাথি নীতির প্রতিবাদে অনশনে চিকিৎসকরা
সম্প্রতি কেন্দ্র সরকারের আয়ুষ-মন্ত্রক আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাকে মূলস্রোতে স্থান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘মিক্সোপ্যাথি’। বিশেষ করে শল্য চিকিৎসায় আয়ুর্বেদিক শিক্ষাপ্রাপ্ত বিশেষজ্ঞদের অংশ নেওয়ার অধিকার দেওয়ার কথা উঠছে। যদিও এব্যাপারে পরিষ্কার কোনও নির্দেশাবলী এখনও বানানো হয়নি, তবে এব্যাপারে প্রথম থেকে প্রতিবাদ করছেন অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসকরা। শুক্রবার সারাদেশের সঙ্গে শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা কেন্দ্র সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তিন ঘণ্টাব্যাপী আংশিক অনশন পালন করলেন। একইভাবে শনিবার সকালেও তারা তিন ঘন্টার অনশন পালন করবেন।
ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের কাছাড় জেলা শাখার উদ্যোগে শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এদিন কার্যসূচী পালন করা হয়। হাসপাতালের বহির্বিভাগের মূল বিল্ডিংয়ের সামনে এদিন সকাল দশটায় জমায়েত হন চিকিৎসকরা। সেখানে বসেই প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ দ্বিজেন দাস, ডাঃ ভাস্কর কান্তি নাথ, ডাঃ সুমিত দাস, ডাঃ ঋতুরাগ ঠাকুরিয়া, ডাঃ রণবীর পাল, ডাঃ তনুশ্রী দেব সহ অন্যান্যরা।
তারা বলেন, “একজন ছাত্র অনেক পরিশ্রম করে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পায়, তারপর বহু বছর কেটে যায় নিজেকে গড়ে তুলতে। তারপরেও লাগাতার পরিপক্ক চিকিৎসকদের সঙ্গে কাজ করতে করতে একজন ব্যক্তি সম্পূর্ণ শল্য-চিকিৎসক হয়ে উঠেন। আর শুধুমাত্র দুই বছরের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার ক্রাশ-কোর্স করে আসা একজন ব্যক্তিকে অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে পরিপক্ক সার্জনদের সঙ্গে চিকিৎসায় অংশ নিতে দেওয়া হবে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। আজ সারাদেশের সঙ্গে আমরাও চিকিৎসকদের প্রতিবাদে সামিল হয়েছি। এখন প্রতীকী প্রতিবাদ চলছে, তবে আগামীতে আরও বড় আকারের প্রতিবাদে নামবেন চিকিৎসকরা।”
তারা আরও বলেন, “আমরা অন্যান্য সরকারি বিভাগের মত দিনভর প্রতিবাদ করতে পারিনা কেননা রোগীরা আমাদের উপর নির্ভরশীল থাকেন। তবে পুরো চিকিৎসা ব্যবস্থাকে সুরক্ষিত রাখতে প্রয়োজনে চিকিৎসকরা আরও কঠোর পদক্ষেপ নেবেন। আমাদের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা সরকারের সঙ্গে আলোচনায় রয়েছেন এবং আমাদের বিশ্বাস সরকার আমাদের যুক্তি বুঝবেন।”
Comments are closed.