Also read in

শুক্রবার থেকে পুনরায় চালু হচ্ছে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ, ঠিকঠাক পরিষেবা দিতে পারেনি বেসরকারি হাসপাতালগুলো, আক্ষেপ প্রশাসনের

শুক্রবার থেকে সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ। ৩০ মার্চ স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা মেডিক্যাল কলেজকে পুরোপুরি ভাবে কোভিড-১৯ হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। সঙ্গে জেলার ২২টি বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে মউ চুক্তি করে সাধারণ চিকিৎসা পরিষেবায় তাদের কাজে লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কয়েকটি পরিষেবা বাদ দিয়ে প্রায় সব বিভাগ অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছিল। শুক্রবার থেকে আবার সেই বিভাগ গুলো কাজ শুরু করবে। তবে একটি এলাকা করোনা জোন হিসেবে রেখে দেওয়া হবে। হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ ডাঃ ভাস্কর গুপ্ত বৃহস্পতিবার খবরটি জানান।

শিলচর মেডিক্যাল কলেজে মোট ১১০০টি শয্যা রয়েছে, এরমধ্যে ১০০টি করোনা রোগীদের জন্য বরাদ্দ থাকবে। ভবিষ্যতে পরিস্থিতি খারাপ হলে মোট ৫৫০টি শয্যা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য বরাদ্দ করা সম্ভব হবে। তবে সাধারণ রোগীদের জন্য চিকিৎসা পরিষেবা ধাপে ধাপে স্বাভাবিক হবে। প্রত্যেক ক্ষেত্রে সোশ্যাল ডিসটেন্স কড়াকড়িভাবে মানা হবে। এক্ষেত্রে মেডিক্যাল কলেজ চত্বরের জন্য নিজস্ব নিয়ম গড়ে তোলা হবে। প্রত্যেক রোগী এবং পরিবারের সদস্যদের এই নিয়মগুলো অবশ্যই মেনে চলতে হবে। এখন শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একজন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি রয়েছেন। তার ছয়টি টেস্ট হয়েছে এবং এখনো পজেটিভ রয়েছে। তবে স্বাস্থ্যের দ্রুত উন্নতি হচ্ছে এবং খুব শিগগির তার মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মেডিকেল কলেজ কোভিড-১৯ হাসপাতাল থাকাকালীন বেসরকারি হাসপাতালগুলো প্রয়োজনীয় পরিষেবা ঠিকমতো দিতে পারেনি, এমনটাই আক্ষেপ প্রশাসনের। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনাকে মাথায় রেখেই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে পুরোপুরিভাবে কোভিড-১৯ হাসপাতাল বলে ঘোষণা করেছিল স্বাস্থ্য বিভাগ। কয়েকটি বিভাগকে সতীন্দ্রমোহন দেব সিভিল হাসপাতালে স্থানান্তর করার পাশাপাশি শহরের একুশটি বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে মউ চুক্তি করেছিল সরকার। কথা ছিল বেসরকারি হাসপাতালগুলো আয়ুষ্মান ভারত, অটল অমৃত যোজনা ইত্যাদির অধীনে সুলভ মূল্যে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা দেবে। তবে তারা ঠিকঠাক পরিষেবা দিতে পারেনি। ফলে সাধারণ রোগীদের প্রচন্ড অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে আবার সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়ার পেছনে এটাও অন্যতম কারণ, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এবং শিলচর মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি এমনটাই মনোভাব ব্যক্ত করেছেন।

তবে এব্যাপারে সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে কিছুটা খামতি রয়েছে। গ্রামের দুঃস্থ পরিবারের ব্যক্তিরা সহজে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না শহরের বড় বেসরকারি হাসপাতালগুলো তাদের সুলভ মূল্যে চিকিৎসা প্রদান করবে। হয়তো এটাও এই ব্যর্থতার পেছনে অন্যতম একটা কারণ।

Comments are closed.