লায়লাপুরে বজ্র আঁটুনি, অন্য পথে কি সামগ্রী পাচার বরাকে
মিজোরাম থেকে বরাক উপত্যকা হয়ে মাদক-সহ অন্যান্য সামগ্রী পাচারের অভিযোগ উঠেছে বহুবার। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা শিলচরে এসে বলেছিলেন লায়লাপুরের ঘটনার নেপথ্যে এই পাচারকারীদের ভূমিকা থাকার কথা। এ নিয়ে বিতর্ক হলেও জোরামথাঙ্গার রাজ্য থেকে বরাক উপত্যকার মধ্যে দিয়ে বিভিন্ন সামগ্রীর পাচার চলে, তাতে সন্দেহের অবকাশ নেই।
দু’দিন আগে নিউ বঙ্গাইওগাওঁ স্টেশনে প্রচুর পরিমাণে বার্মিজ সুপারি ধরেছিল রেল পুলিশ। শিলচর-কলকাতা কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে তল্লাশি চালিয়েই ওখানে বাজেয়াপ্ত হয়েছিল ২৫৬ বস্তা বার্মিজ সুপারি। জানা গেছে, এই সুপারির বস্তা জিরিবামে ট্রেনে তোলা হয়। সেখান থেকে প্রথমে আসে শিলচরে। এখান থেকেই কলকাতা-গামী কাঞ্চনজঙা এক্সপ্রেসে করে সুপারি পাঠানোর ব্যবস্থা হয়েছিল। ফলে মণিপুর থেকেও যে বরাক উপত্যকা হয়ে বিভিন্ন সামগ্রী পাচারের প্রয়াস চলে থাকে, এ ঘটনা থেকে ফের তা স্পষত হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার রাতে ধোয়ারবন্দ এলাকা থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে আড়াই লক্ষের বার্মিজ মশার কয়েল। এক গাড়ির চালককে ধরেছে পুলিশ। ধোয়ারবন্দ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নিরুপম নাথের বক্তব্য, স্থানীয় বাজারে একটি গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৫১ কার্টন বার্মিজ মশার কয়েল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গাড়ির চালক সামগ্রীর কোনও নথি দেখাতে পারেনি। তাই তাকেও আটক করেছে পুলিশ।
চালক একবার হোসেন লস্কর (২৫) ধলছড়া এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ বলছে, একবার তাদের বলেছে যে, মিজোরামের ভাইরেংটিতে এসব সামগ্রী সে গাড়িতে তুলেছে। বিলাইপুর থেকে ভাইরেংটি অবধি আকটি ফাঁড়ি পথ রয়েছে। ওই সড়ক ধরেই এই সামগ্রী ধোয়ারবন্দ এসেছিল। পুলিশের ধারণা, লায়লাপুরে ২৬ জুলাইর ঘটনার পর নিরাপত্তা বেড়ে যাওয়ায় বিকল্প নিরাপদ পথের সন্ধানে রয়েছে পাচারকারিরা। তার জন্যই বিলাইপুরের ফাঁড়িপথ ব্যবহার করা হয়েছে। মঙ্গলবারের রাতের ঘটনার পরে এই পথ ধরে মাদক পাচারের সম্ভাবনা থাকতে পারেও বলে সন্দেহ পুলিশের। এ সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। পাশাপাশি, বিলাইপুরের মতো অন্য কোনও পথ ব্যবহার করছে কি না পাচারকারিরা, তা-ও খতিয়ে দেখতে পারে পুলিশ।
Comments are closed.