
চূড়ান্ত হয়ে গেল শিলচর ডি এস এ আয়োজিত পারুল রানী শর্মা স্মৃতি দ্বিতীয় ডিভিশন ক্রিকেটে সেমিফাইনালের লাইনআপ
বৃহস্পতিবার শেষ চার নিশ্চিত করেছিল ইটখোলা স্পোর্টিং ও টিটি ক্লাব। শুক্রবার সেমিফাইনালের টিকিট আদায় করে নিল সন অফ ইন্ডিয়া ও সোনাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন।
শনিবার প্রতিযোগিতার প্রথম সেমিফাইনালে টিটি ক্লাব খেলবে ইটখোলা স্পোর্টিংয়ের বিরুদ্ধে। ম্যাচটা শুরু হবে সকাল সাড়ে আটটায়। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বেলা ১২.৩০ থেকে লড়াইয়ে নামবে সন অফ ইন্ডিয়া ও সোনাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন।
শুক্রবার প্রতিযোগিতার তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে সন অফ ইন্ডিয়া ৯ উইকেটে উড়িয়ে দেয় ক্লাসমেটস ইউনিয়ন কে। এদিন এস এম দেব স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ক্লাসমেটস। তবে নকআউট ম্যাচের চাপ নিতে ব্যর্থ হন দলের ব্যাটসম্যানরা। ফলে তারা ১৫.৩ ওভারে ৬৪ রানেই গুটিয়ে যায়।
শুরু থেকেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে ক্লাসমেটস। তাদের রিপন মজুমদার ১০, পূর্ণেন্দু সিং ১০ এবং অমিও শংকর রায় ১০ রান করেন। অতিরিক্ত ১২। কেবল চার রান দিয়ে ৩ উইকেট দখল করেন সম্রাট আচার্য। এছাড়া হসেন আহমেদ বড়ভুইয়া, জীবিতেষ ভট্টাচার্য এবং আরুষ সিং দুটি করে উইকেট নেন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, একটা সময় ক্লাসমেটসের স্কোর ছিল তার উইকেটে ৫০। সেখান থেকে দলটা ১৪ রানে শেষ ছয় উইকেট হারায়। রান তাড়া করতে নেমে ৯.১ ওভারে এক উইকেট হারিয়েই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় সন অফ ইন্ডিয়া। দুই ওপেনার দীপায়ন রায় (অপরাজিত ৩৩) ও শুভমিত্র বিশ্বাস ২৪ রান করে দলের জয় নিশ্চিত করে দেন
দিনের দ্বিতীয় তথা প্রতিযোগিতার চতুর্থ ও শেষ কোয়ার্টার-ফাইনালে এক শ্বাসরুদ্ধকর জয় ছিনিয়ে নেয় সোনাই। তারা তিন রানে হারিয়ে দেয় মধ্যসহর এসএসকে। লো স্কোরিং ম্যাচে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে ১০৯ রানে অলআউট হয় সোনাই। তাদের খুশ দাস ২৪, অরূপ দে ২১ এবং সাহার আলম ১৭ রান করেন। চার উইকেট নেন রত্ন বীর শর্মা। শিবা সিনহা নেন দু উইকেট।
রান তাড়া করতে নেমে একটা সহজ জয়ের পথে ছুটছিল মধ্য শহর। ১২.৫ ওভারে তাদের স্কোর ছিল বিনা উইকেটে ৭৬। ওপেনিং জুটিতে সুব্রত সেন (১৯) ও শিবা সিনহা (৪৭) দারুন ব্যাটিং করেন। তবে এরপরই ম্যাচের মোড় বদলে যায়। একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে মধ্যসহর। তাদের চার-চার জন ব্যাটসম্যান রানআউটের শিকার হন। ফলে তারা আরো চাপে পড়ে যায়। লোয়ার অর্ডার এ প্রিয়াংশু বর্মন ১০ রান করে একটা আশা জাগলেও সেটা যথেষ্ট ছিল না। অবশেষে দু বল বাকি থাকতে ১০৬ রানে অলআউট হয়ে যায় মধ্যসহর। সেই সঙ্গে টুর্নামেন্ট থেকে তাদের বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায়। অতিরিক্ত থেকে আসে ১৬।
Comments are closed.