
পাঁচ মাস হল সৌরভ সুপ্রিয়ার খোঁজ নেই, আমরণ অনশনে মা-বাবা
বিগত ৯ জুন নিখোঁজ দুই শিশু পুত্র-কন্যা ১১ বছরের সৌরভ এবং ৬ বছরের সুপ্রিয়া । বিভিন্ন সময়ে প্রশাসনের আশ্বাসবাণীতে কোনো ফল হয়নি। পাঁচ মাস পরেও এই দুই শিশুদুটিকে জেলা প্রশাসন বা পুলিশ প্রশাসন খুঁজে বের করতে পারেনি।
শেষ চেষ্টায় অশ্রুসজল চোখে ছেলে মেয়ের ছবি বুকে নিয়ে আজ শিলচর ডাকবাংলো রোড ক্ষুদিরাম মূর্তির পাদদেশে আমরণ অনশনে বসলেন ওদের পিতামাতা সুনধন দাস ও সোমবালা দাস । তাদের সাথে সহমর্মিতা প্রকাশ করে তাদের পাশে রয়েছে ‘আপনজন’ এবং ‘শিশু সুরক্ষা ও নাগরিক কল্যাণ সমিতি’ নামক দুটি সংগঠন ও।
আপন জনের সভাপতি রাজেশ চন্দ্র দাস ক্ষুদিরাম মূর্তির পাদদেশে বসে এই প্রসঙ্গে জানান, “দুই শিশুসন্তান সৌরভ ও সুপ্রিয়া নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে সচেতন নাগরিকবৃন্দ, বিভিন্ন সংগঠন এবং রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা বারবার জেলাশাসক এবং পুলিশ প্রশাসনকে বাচ্চা দুটো উদ্ধার করার জন্য লিখিতভাবে আবেদন রেখেছেন । কিন্তু আজ পর্যন্ত পুলিশ প্রশাসন তাদের উদ্ধার করতে সদিচ্ছা প্রকাশ করেননি । আসাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিখোঁজ হওয়া এক ধনী ব্যক্তির শিশুকন্যাকে ৭২ ঘণ্টার ভেতরে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন উদ্ধার করেছিল। কিন্তু এই দুটি শিশু দিনমজুরের সন্তান হওয়ায় তাদের উদ্ধার করার জন্য সেরকম প্রয়াস নেওয়া হচ্ছে না। তাই আমৃত্যু অনশনে বসতে হয়েছে ; পিতা-মাতাকে, তাদের প্রতি আমাদের সহমর্মিতা রয়েছে”। সচেতন নাগরিকরা আশা করছেন যে, এবার হয়তো প্রশাসন একটু নড়ে চড়ে বসবে।
উল্লেখ্য, গত ৬ই জুন রাত থেকে আশ্রম রোড তপোবন নগরের শিববাড়ি লেনের বাসিন্দা সুরধন দাস এবং সোমবালা দাসের এই দুই পুত্র কন্যা নিখোঁজ থাকলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত তাদেরকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়েছে। সৌরভ অধরচাঁদ হাইস্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র এবং সুপ্রিয়া দূর্গাশংকর পাঠশালার প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী। পারিবারিক ঝগড়ার কারণে শিশুটির মা তাদেরকে নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। তিন দিন পর গভীর রাতে পুলিশ তাদের মাকে আশ্রম রোড গোবিন্দ বাড়ির সামনে থেকে বাড়িতে নিয়ে আসে। কিন্তু শিশু দুটির কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
Comments are closed.