Also read in

পাথারকান্দিতে ডাম্পারের ধাক্কায় প্রাণ গেল পুলিশকর্মী এবং তার স্বামীর

বরাক উপত্যকার গত দুই সপ্তাহে দ্রুতগামী চারচাকা গাড়ির দৌরাত্ম্যে একের পর এক মানুষ নিহত হওয়ার খবর আসছে। এবার করিমগঞ্জের পাথারকান্দিতে ডাম্পারের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন পুলিশ কর্মী এবং তার স্বামী। শনিবার সন্ধ্যা কর্মস্থল থেকে বাইকে চেপে বাড়ি যাওয়ার পথে এই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পাথারকান্দি থানার মহিলা পুলিশ কর্মী টিনামনি চড়াই (৩০) ও তার স্বামী লিংগি শেখ চড়াই (৪৫)। অসম-ত্রিপুরা ৮নং জাতীয় সড়কের পাথারকান্দি মুন্ডমালায় যাওয়ার পথে করিমগঞ্জ অভিমুখী দ্রুতগামী একটি ডাম্পার গাড়ি সজোরে বাইকে ধাক্কা মারলে উভয়েই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাঁর স্বামী পেশায় গাড়ি চালক।

এদিন থানায় তার দায়িত্ব সেরে সন্ধ্যা ছয়টা নাগাদ টিনা মনি তাঁর স্বামীকে নিয়ে বাইকে বাড়ি ফিরছিলেন। তার স্বামী লিংগি শেখ বাইক চালাচ্ছিলেন এবং তিনি পিছনে বসে ছিলেন। সেই অবস্থায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে এবং তারা গুরুতরভাবে আহত হয়ে পড়েন। স্থানীয়রা আহত অবস্থায় টিনামণিকে পাথারকান্দি হাসপাতালে নিয়ে গেলেও ডাক্তাররা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষোভ দেখা দেয়।

ঘটনার পর সুযোগ বুঝে ঘাতক ডাম্পার গাড়িটি নিয়ে পালাতে চেষ্টা করলেও স্থানীয়রা বারইগ্রাম এলাকায় তাকে আটক করেন। দুর্ঘটনাটির খবর পেয়ে সরকারি কোয়াটারে থাকা জোড়া দম্পতির বারো বছরের পুত্র কান্নায় ভেঙে পড়ে। এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, যদি স্থানীয় পুলিশ ঘাতক চালককে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আটক করতে না পারে তাহলে পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হবে। তারা প্রয়োজনে সড়ক অবরোধ করবেন এবং কোন গাড়ি চলাচল করতে দেবেন না।

দুর্ঘটনার খবর পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে পাথারকান্দি হাসপাতালে ছুটে আসেন স্থানীয় বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল। তিনি এই দম্পতির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং শোকার্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। তিনি বলেন, এভাবে চালকদের দৌরাত্ম্য আমরা কিছুতেই মেনে নেব না। যদি পুলিশ অতিসত্বর ঘাতক ড্রাইভারকে ধরতে না পারে তাহলে আমরা প্রয়োজনে জাতীয় সড়ক আটক করব।

Comments are closed.