পারুল শর্মা স্মৃতি লিগ কাম নকআউট বি ডিভিশন প্রাইজমানি ক্রিকেটে দারুন হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখা গেল। এদিন জয় পেয়েছে স্পিরিট ইউনিয়ন ও বেঙ্গল বয়েজ ক্লাব।
দিনের প্রথম ম্যাচে এসএম দেব স্টেডিয়ামে স্পিরিট ইউনিয়ন লো স্কোরিং ম্যাচে ৮ রানে হারায় কল্লোল সংঘ কে। এই জয়ের ফলে গ্রুপ সিতে টানা দুই ম্যাচ জিতে টুর্নামেন্টের শেষ আটে স্থান করে নিল স্পিরিট। ফলে গ্রুপের অন্য দুটি দল কল্লোল সংঘ তরুণ সংঘ টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেল। এবার গ্রুপের নিজেদের শেষ নিয়ম রক্ষার ম্যাচে মুখোমুখি হবে তরুণ ও কল্লোল।
এদিন ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১০৬ রান করে স্পিরিট। বর্ষিয়ান শিবাশীষ দত্তগুপ্ত ২৪ রান করেন। তবে দলের পক্ষে সর্বাধিক রান করেন সুমন দাস। তিনি করেন অপরাজিত ৩৬। এছাড়া পার্থ শুক্লবৈদ্যর অবদান ২১।
অতিরিক্ত ১১। মাশুক আহমেদ ও সঞ্জয় দত্ত দুটি করে উইকেট নেন। জবাবে ৯৮ রানে অলআউট হয়ে যায় কল্লোল সংঘ। উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন মাসুক আহমদ ৩৩। অরিজিৎ চন্দ করেন ১৪। অতিরিক্ত ২৭। বর্ষীয়ান অফস্পিনার নিহারেন্দু দেব নেন চার উইকেট। সুমন দাস ও দোলন শুক্লবৈদ্য দখল করেন দুটি করে উইকেট।
দ্বিতীয় ম্যাচে বেঙ্গল বয়েজ ৯ রানে হারায় বিবেকানন্দ স্পোর্টিং কে। এর ফলে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেল বিবেকানন্দ স্পোর্টিং। এর আগেও তারা নিজেদের প্রথম ম্যাচে হেরে ছিল। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করে বেঙ্গল বয়েজ। তারা নির্ধারিত কুড়ি ওভারে ৮ উইকেটে করে ১৩৭। দেবতোষ নাথ ৪৯ রান করেন। দেবজ্যোতি দাস করেন ৩৮। এছাড়া রনধীর দত্ত করেন ১৮। অতিরিক্ত ১৭। সমুজ্জ্বল কর ও শিবম দত্ত তিনটি করে উইকেট শিকার করেন।
রান তাড়া করতে নেমে ৮ উইকেটে ১২৮ রানে আটকে যায় বিবেকানন্দ স্পোর্টিং। দলের পক্ষে সর্বাধিক ২৭ রান করেন ভাস্কর দাস। এছাড়া সন্দীপ নাথ ১৯ ও সমুজ্জ্বল কর ১৬ রান করেন। অতিরিক্ত ১৩। দুটি করে উইকেট নেন চিরঞ্জিত সিনহা বিশাল দাস ও সোহম পাল।
Comments are closed.