আদালত চত্বরে স্টাম্প পেপার নিয়ে কালোবাজারি : আটক এক- কড়া বার্তা জেলাশাসকের
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন প্রক্রিয়াকে সামনে রেখে শিলচর আদালত চত্বরে একাংশ স্টাম্প বিক্রেতা ইচ্ছাকৃতভাবে বেশি দামে স্টাম্প বিক্রি করার দৌরাত্ম দেখাচ্ছে। নির্বাচনে মনোনয়নপত্র পেশ করার জন্য ২০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্টাম্পের প্রয়োজন, কিন্তু ইচ্ছুক প্রার্থীদেরকে ১০০ থেকে ১২০ টাকায় কিনতে হচ্ছে স্টাম্প কালোবাজারিদের কাছ থেকে। সোমবার সকালে সীমান্ত চেতনা মঞ্চের তরফে এমন একটি অভিযোগ পেয়ে জেলাশাসক ডাঃ এস লক্ষ্মণন আদালত চত্বরে উপস্থিত হয়ে হাতেনাতে এক ব্যক্তিকে পাকড়াও করেন। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি স্টাম্প বিক্রেতাদের কড়া ভাষায় জানিয়ে দেন, আদালত চত্বরে অবৈধভাবে স্টাম্প বিক্রি করলে এর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সীমান্ত চেতনা মঞ্চের তরফে রত্নদীপ পাল সহ বেশ কয়েকজন নির্বাচনপ্রার্থী জেলাশাসককে তাদের অভিযোগটি জানান। ডাঃ এস লক্ষ্মণন অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে আদালত চত্বরে নিজে উপস্থিত হন। সেখানে হাতেনাতে এক ব্যক্তিকে ধরে ফেলা হয়। তবে পরে জানা যায়, সেই ব্যক্তিটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত স্টাম্প বিক্রেতা নয়। কিছুক্ষণ আটক রাখার পর ব্যক্তিটিকে ছেড়ে দিলেও এলাকায় কড়া নজরদারী রাখার আশ্বাস দেন ডাঃ লক্ষ্মণন। তিনি জানান, “জেলায় বর্তমানে পর্যাপ্ত পরিমানে স্টাম্পের যোগান রয়েছে। আমাদের কাছে অভিযোগ রয়েছে একাংশ বিক্রেতা ভুল তথ্য ছড়িয়ে এগুলো বেশি দামে বিক্রি করছে। আমি স্পষ্টভাবে বলে দিচ্ছি, নির্বাচনের প্রার্থীদের জন্য যেসব স্টাম্প দরকার, সেগুলো ট্রেজারি সহ অন্যান্য সরকারি কার্যালয়ে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া আমরা ই-স্টাম্পও চালু করছি। তাই এসব নিয়ে দৌরাত্ম দেখানোর কোনও জায়গা থাকছে না। সাধারণ মানুষকে এসব বুঝে দুষ্ট চক্রের থেকে সাবধান থাকতে হবে।”
সীমান্ত চেতনা মঞ্চের তরফে রত্নদীপ পাল বলেন, নির্বাচনের আগে জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা শিলচর আসছেন। অনেকেই শিক্ষার দিকে কিছুটা পিছিয়ে আছেন, এই সুযোগ নিয়ে একাংশ স্টাম্প বিক্রেতা অবৈধভাবে চড়া দামে বিক্রি করছে। এ নিয়ে কিছু বললেই তারা জানায়, জেলায় নন জুডিশিয়াল স্টাম্প পাওয়া যাচ্ছে না, তাই বেশি দামেই এসব কিনতে হবে। “অনেকে আমদের কাছে এসে এই নিয়ে অভিযোগ করছেন। আমরা নিজেরাই এসবের তদন্ত করতে মাঠে নামি এবং জেলাশাসককে অবগত করি।” জেলাশাসকের তৎপরতায় সন্তোষ ব্যক্ত করে তারা আশা প্রকাশ করেন যে, অচিরেই কালোবাজারি চক্রের এই দৌরাত্ম বন্ধ হবে।
Comments are closed.