এবার হাইলাকান্দির এসএস কলেজের ছাত্র করোনা আক্রান্ত
ছাত্রদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে অফলাইন পরীক্ষা নিচ্ছে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়। গত ১০ দিনে ছাত্র এবং শিক্ষক সহ অনেকেই পজিটিভ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার এই ধারা অব্যাহত থেকেছে, এদিন পজিটিভ হয়েছে হাইলাকান্দি শ্রীকিষন সারদা কলেজের কলা বিভাগের এক ছাত্র। স্নাতক তৃতীয় সেমিস্টারের ছাত্রটি ইতিমধ্যে দুটো পরীক্ষা দিয়ে দিয়েছে এবং তার আগামী পরীক্ষা রয়েছে ১২মে। বৃহস্পতিবার কোনও একটা কাজে কলেজে গেছিল সে এবং সেখানে তাপমাত্রা দেখে স্বাস্থ্যকর্মীরা তার কোভিড পরীক্ষা করিয়েছেন, এতেই পজিটিভ ধরা পড়েছে। স্বাস্থ্য আধিকারিকদের পরামর্শে ছাত্রটি বাড়ি ফিরে গেছে এবং আগামী ১৪দিন হোম আইসোলেশনে থাকবে।
ছাত্রটি জানিয়েছে, ৮ এবং ১০ এপ্রিল সে পরীক্ষা দিয়েছে এরপর কলেজে যায়নি। আগামী ১২ মে তার পরীক্ষা রয়েছে এবং বৃহস্পতিবার একটি বিশেষ কাজে কলেজে যেতে হয়েছিল। ঢোকার আগে গেটে স্বাস্থ্যকর্মীরা তার প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন এবং একটা ঘরে বসতে বলেন। সেখানে তার কোভিড পরীক্ষা হয় এবং জানিয়ে দেওয়া হয় রেজাল্ট পজেটিভ। খুব সাবধানে থাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয় এবং আগামীতে পরিবারের সদস্যদের পরীক্ষা করিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
শ্রীকিষন সারদা কলেজের অধ্যক্ষ অমলেন্দু ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, তারা প্রথম থেকেই কলেজে সম্পূর্ণ কোভিড প্রটোকল মেনে চলছেন। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ দল কলেজে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে যারা রোজ ছাত্রদের শরীরের তাপমাত্রা সহ অন্যান্য উপসর্গগুলোর দিকে লক্ষ্য রাখে। যাদের একটু অস্বাভাবিক মনে হয়, তাদের রেপিড এন্টিজেন টেস্ট করিয়ে নেওয়া হয়। এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণে সেনিটাইজার রাখা হয়েছে যা বারবার প্রতিটি ক্লাসরুমে ছিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
একের পর এক ছাত্র পজিটিভ হওয়ার ফলে অনেকেই দাবি জানাচ্ছেন এই মুহূর্তে যাতে পরীক্ষা আর এগিয়ে নেওয়া না হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখনও তেমন কোনও সিদ্ধান্ত নেননি। সরকারের তরফেও পরীক্ষা বাতিল করার ব্যাপারে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। তবে ছাত্রদের মনে একটা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে, যেটা তাদের পড়াশোনার ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলতে পারে। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয়, বিশ্ববিদ্যালয়, রাজ্য সরকার বা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এব্যাপারে উদাসীন মনোভাব দেখাচ্ছেন।
Comments are closed.