পরীক্ষার পর পজিটিভ হয়েছে ললিত জৈন কমার্স কলেজের ছাত্রী, নির্বিকার কলেজ কর্তৃপক্ষ
১৭ এপ্রিল ললিত জৈন কমার্স কলেজের এক ছাত্রী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে, সে নিজেই ফেসবুকে কথাটি জানিয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ১৭ এপ্রিল তার পরীক্ষা ছিল এবং কলেজেই সে স্বাভাবিক নিয়মে পরীক্ষা দিয়েছে। পঞ্চম সেমিস্টারের ছাত্রী নিজেই তার আক্রান্ত হওয়ার খবরটি জানিয়েছে এবং তার সংস্পর্শে আসা প্রত্যেকের প্রতি বার্তা দিয়েছে, তারা যেন নিজেদের কোভিড পরীক্ষা করিয়ে নেন। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ এব্যাপারে একেবারেই নির্বিকার।
কলেজ কর্তৃপক্ষ বলছেন, ছাত্রীটি পজিটিভ হয়েছে সেটা তারা শুনেছেন কিন্তু যেহেতু সরকারিভাবে তাদের কেউ জানায়নি বা আক্রান্ত ছাত্রীর পরিবারের তথ্য যোগাযোগ করা হয়নি, ফলে এ ষব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন তারা দেখছেন না। যদি আগামীতে জেলা প্রশাসন অথবা ছাত্রীর পরিবারের তরফে তাদের জানানো হয় তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।
এবার কথা হচ্ছে, একটি ছাত্রী যে পরীক্ষা দেওয়ার পর পজিটিভ হয়েছে, সে নিজেই সচেতনতার দায়িত্ব নিয়েছে এবং প্রত্যেক ব্যক্তিকে সেটা জানিয়ে ও সতর্ক করছে। অথচ যে কলেজে সে পরীক্ষা দিয়েছে তারা নির্বিকার, এতে অবশ্যই অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীদের ঝুঁকির মুখে ফেলা হচ্ছে। এর দায় কিছুটা হলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের, কেননা তারা সবকিছু জেনেও পরীক্ষা আয়োজন করছেন তারা। একের পর এক ছাত্র আক্রান্ত হওয়ার পরে সেটা বাতিল হচ্ছে না।
গতকাল শোনা গেছিল প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার প্রত্যেক কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে, কিন্তু এব্যাপারে কোনও পরিষ্কার তথ্য পাওয়া যায়নি। প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে এবং সেই সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। সরকারের তরফে বাজার-হাট ইত্যাদির ক্ষেত্রে বিভিন্ন নিয়ম বেঁধে দিলেও ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে সেব্যাপারে কোনও কথা বলা হয়নি। সরকার থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ কর্তৃপক্ষ, ছাত্র-ছাত্রীদের সুরক্ষা নিয়ে প্রত্যেকেই যেভাবে উদাসীন অনুভব দেখাচ্ছেন এতে ভবিষ্যতে বিপদের আশঙ্কা বাড়ছে।
Comments are closed.