Also read in

কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে মুক্তির দাবিতে সোচ্চার দেওবন্দ ফেরত ছাত্ররা

কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হলেন দেওবন্দ ফেরত ছাত্ররা। শনিবার নতুন বাজারের এ কে হাইমাদ্রাসা কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকা ব্যক্তিরা অনশণ ধর্মঘটের ডাক দেওয়ায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তাদের অভিযোগ, স্বাস্থ্য মন্ত্রী ড: হিমন্ত বিশ্ব শর্মার প্রতিশ্রুতি মতো কেন নির্ধারিত সময় সীমার মধ্যে তাদের করোনা টেস্টের রিপোর্ট আসে নি। যার ফলে তারা বন্দিজীবন কাটাচ্ছেন।

এদিন কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকা অর্ধশতাধিক মাদ্রাসা ছাত্র আন্দোলন শুরু করায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ম্যাজিস্ট্রেট রুথি সালাডে, লালা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ইনচার্জ ডাঃ জাহিদুল ইসলাম, বিধায়ক সুজাম উদ্দিন লস্কর, লালা ব্লকের বিডিও এ হোসেন , এপিসিসি সম্পাদক দিলোয়ার হোসেন বড়ভূইয়া সহ পুলিশ, সি আর পি এফ বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান। ছাত্ররা তাদের কাছে অভিযোগ করে জানান যে একই ট্রেনে দেওবন্দ ফেরত কাছাড়, করিমগঞ্জ জেলার ছাত্রদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে ইতিমধ্যে মুক্তি দেওয়া হয়েছে । কিন্ত তাদের সোয়াব টেস্টের রিপোর্ট না আসায় আটকে রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী চার দিনের মধ্যে সোয়াব টেস্টের রিপোর্ট আসার কথা। কিন্ত ব্যাতিক্রম হচ্ছে মাদ্রাসা ছাত্রদের ক্ষেত্রে।

ডাঃ জাহিদুল ইসলাম জানান, ল্যাবরেটরির সংখ্যা কম থাকায় রিপোর্টে বিলম্ব হচ্ছে। তিনি তাদেরকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, জেলা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করে শীঘ্রই তাদের রিপোর্ট আনার ব্যবস্থা করবেন। বিধায়ক সুজাম উদ্দিন লস্কর কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকা মাদ্রাসা ছাত্রদের সোয়াব টেস্টের রিপোর্ট সংগ্রহ করে তাদেরকে মুক্তি দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনের সাথে কথা বলেন।বিধায়ক সুজাম উদ্দিন লস্কর, এপিসিসি সম্পাদক দিলোয়ার হোসেন বড়ভূইয়া, ম্যাজিস্ট্রেট রুথি সালাডে, ডাঃ জাহিদুল ইসলামের আহবানে সাড়া দিয়ে এদিন বিকেলে আন্দোলন প্রত্যাহার করেন কোয়ারান্টাইন সেন্টারের অর্ধশতাধিক ছাত্র।

Comments are closed.