Also read in

বাঙালি নির্যাতনের বিরুদ্ধে গর্জে উঠল ছাত্ররা, "আমরা পাল্টা উত্তর দিলে প্রশাসন সামলাতে পারবে না"

মেঘালয় লাগাতার বাঙালির নির্যাতন এবং শেষমেষ রামকৃষ্ণ মিশনের বিবেকানন্দ কালচারাল সেন্টারের গেটে তালা লাগিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে বরাবরই সরব সূর্য শহরের বিভিন্ন কলেজের পড়ুয়ারা সম্প্রতি কাছাড়ের লক্ষ্মীপুর এলাকায় এক বাঙালি পরিবারকে হেনস্তা করেছে স্থানীয় খাসিয়া কিছু পরিবার। এসবের বিরুদ্ধে এবার মাঠে নামল শহরের পড়ুয়ারা। সোমবার তারা জেলাশাসক কার্যালয় সংলগ্ন ক্ষুদিরাম মূর্তির সামনে জোরালো প্রতিবাদ প্রদর্শন করে তারা। তাদের স্পষ্ট বয়ান, মেঘালয় বাঙ্গালীদের হেনস্থা বন্ধ হতেই হবে। তবে এবার যদি কাছাড় জেলায় বাঙ্গালীদের বিরুদ্ধে অত্যাচার শুরু হয় সেটা কোনভাবেই মেনে নেবে না স্থানীয় পড়ুয়ারা।”

প্রতিবাদকারীদের পক্ষ থেকে সুভাষ চৌধুরী বলেন, “মেঘালয়ে অকারনে বাঙ্গালীদের উপর অত্যাচার এখন চরমে। সেটা বাঙ্গালীদের বাংলাদেশী বলে পোস্টার লাগানো হোক বা শারীরিকভাবে তাদের নিগ্রহ করা, সবটাই হয়েছে। শেষমেষ রামকৃষ্ণ মিশন এর মত সেবা প্রতিষ্ঠান বিবেকানন্দ কালচারাল সেন্টারে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে খাসি ছাত্র সংস্থা। বরাক উপত্যকায় বসে এর বিরুদ্ধে জোরালো আওয়াজ তুলেছি। তবে এখন বরাকের মাটিতেই খাসিয়া জনগোষ্ঠীর হাতে হেনস্তা হলেন বাঙালি পরিবার। তার মানে তারা এখন বরাকেও বাঙ্গালীদের বিরুদ্ধে একটি বিদ্বেষমূলক মনোভাব গড়ে তুলতে চাইছে। এটা কোনওভাবেই হতে দেওয়া যায় না। লক্ষ্মীপুরে এক বাঙালি পরিবারকে যেভাবে পুরো একটি খাসিয়া জনগোষ্ঠীর গ্রাম লাগাতার হেনস্থা করে যাচ্ছে, এটা আমাদের কাছে অশনি সংকেত। তবে বরাক উপত্যকাকে আমরা কোনোভাবেই মেঘালয় হতে দেবনা। যদি কাছাড়ের জেলা প্রশাসন জেলায় বসবাসকারী বাঙ্গালীদের সুরক্ষা দিতে না পারে, তবে ভবিষ্যতে এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। যদি বাঙালিরা একবার বিগড়ে যায় এবং তারা অন্যদের জবাব দিতে শুরু করে, তখন তাদের সামলানো কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। যদি প্রশাসন এসব ঘটনার বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ না নেয় তাহলে আমরা যদি আগামীতে পাল্টা উত্তর দেই তখন কিন্তু আমাদের কিছু বলার থাকবে না।”

Comments are closed.