না, গতবছরের পুনরাবৃত্তি করতে পারলো না করিমগঞ্জ। জে কে বরুয়া ট্রফি আন্তঃজেলা ক্রিকেটে গতবছর প্রথম ম্যাচেই শিলচর কে ছিটকে দিয়েছিল তারা। এবারও তাদের সামনে ভালো সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ফাইনালের চাপ নিতে পারলেন না করিমগঞ্জের ব্যাটসম্যানরা। ঘরোয়া দল শিলচরের দুরন্ত বোলিংয়ের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ল তাদের ব্যাটিং। ফলে ১২৩ রানের বিশাল জয় নিয়ে জোন চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরবর্তী রাউন্ডে খেলার ছাড়পত্র আদায় করে নিল শিলচর। এবার তারা জে কে বরুয়া ট্রফি আন্তঃজেলা ক্রিকেটের পরবর্তী রাউন্ডে খেলবে জোন চ্যাম্পিয়ন দলের তকমা নিয়ে। এই রাউন্ডের সূচি এখনো তৈরি হয়নি।
দিনের শেষে শিলচর দল সহজ জয় ছিনিয়ে নিলেও ব্যাটিংয়ের সময় কিন্তু প্রচন্ড চাপে ছিল ঘরোয়া দল। বৃহস্পতিবার সকালে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন শিলচরের অধিনায়ক শুভজিত পাল। ঘরোয়া দলের শুরুটা কিন্তু খারাপ হয়নি। প্রথম উইকেট এর জন্য ৫৪ রান যোগ করেন দুই ওপেনার পারভেজ মোশাররফ ও অমন সিং। কিছুটা স্লথ ব্যাটিং করে অমন (৫৫ বলে ২১)। রানের গতি বাড়াতে গিয়ে ফিরে যান তিনি। এরপর ফিরে যান মোশারফও (২৫)। তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি কৃশানু দত্ত (১৫)। আশা জাগিয়েও বড় স্কোর গড়তে ব্যর্থ হন রোশন টপনো (৩৪)। সুবিধা করতে পারেননি দিবাকর গোয়ালা (২) ও গৌরব টপনো (১১)।
৩৪ ওভার শেষে শিলচরের স্কোর ছিল ৫ উইকেটে ১০৭। তখন প্রচন্ড চাপে ছিল ঘরোয়া দল। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে এসে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক শুভজিত পাল। খেলেন দুরন্ত অর্ধশত রানের ইনিংস। ইনিংসের একেবারে শেষ বলে আউট হন তিনি। তখন শুভজিৎ নামের পাশে ৫২। স্ট্রাইক রেট ১০২। আর দলের স্কোর ৮ উইকেটে ২০৩। সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে অসাধারণ ব্যাটিং করেন শুভজিৎ। দিনের শেষে কিন্তু তার এই ইনিংসটাই পার্থক্য গড়ে দিল। দুটি করে উইকেট নেন সৌরভ দাস, সৌরভ দে এবং দীপন কুমার নাথ।
স্লো উইকেটে ওভারপ্রতি ৪ রান করে তাড়া করা করিমগঞ্জের জন্য সহজ ছিল না। তবে তারা নিজেরাই নিজেদের কাজটা কঠিন করে তুলে। হাইলাকান্দির বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে শতরান হাঁকিয়েছিলেন পারভেজ মোশারফ। এদিন ফাইনালে বল হাতে চমক দেখালেন। তার দুরন্ত স্পিনে ২৮.২ ওভারে ৮০ রানেই গুটিয়ে যায় করিমগঞ্জ। শুরু থেকেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে তারা। ৪৬ রানে তাদের পাঁচটি উইকেট চলে যায়। এই চাপ তারা আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি। ছয় উইকেট শিকার করেন পারভেজ। তার বোলিং বিশ্লেষণ ছিল, ৯.২-১-২৯-৬। দুটি উইকেট নেন সমীর সিনহা।
Comments are closed.