
মুক্তি পেল সীমান্তের এক গ্রামের কাহিনী নিয়ে সুবিমল ভট্টাচার্যের তথ্যচিত্র 'ইনস্পাইট অফ দ্য ফেনস'
সুবিমল ভট্টাচার্য্যের সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে জড়িত থেকে বিভিন্ন ধরনের কাজ করার কথা অনেকেই জানেন। সেই কর্মকাণ্ডে আরও এক নতুন সংযোজন,তার প্রযোজনা ও পরিচালনায় নির্মিত একটি তথ্যচিত্র। তিনি আজ শিলচরের জি সি কলেজে তার নতুন প্রজেক্ট ‘ইনস্পাইট অফ দ্য ফেনস’ নামের তথ্যচিত্রের উন্মোচন করেন। ডকুমেন্টারি ফিল্মটি একটি গ্রামের গল্পের উপর আলোকপাত করে নির্মিত হয়েছে, যা কিনা ২০১১ সালে ভারত বাংলা আন্তর্জাতিক সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া তৈরির সঙ্গে সঙ্গে আলাদা হয়ে গিয়েছিল।
ছবিটি কাটিগড়ায় অবস্থিত মহাদেবপুরের গ্রামবাসীদের নিয়ে নির্মিত।”এটি তাদের সুখ-দুঃখ এবং ভারতীয় হওয়ার গর্বের জীবন দর্শায়”, জানালেন সুবিমল ভট্টাচার্য। তথ্যচিত্রটির প্রযোজক ও পরিচালক হিসেবে ভট্টাচার্য্য গ্রামবাসীদের এই গল্পটি জীবন্ত করে তুলতে চেয়েছেন। যারা এই দেশভাগ নিয়ে কিছু বলতে পারেননি এবং যাদেরকে আজও দেশভাগের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
“আমি তাদের জীবন পুরো বিশ্বের সামনে তুলে ধরতেই এই প্রকল্প হাতে নিয়েছি। তারা একটি দুঃখজনক এবং অন্যদিকে সুখী জীবনযাপন করছে। আমি মনে করি যে এই ডকুমেন্টারি মানুষদের বোঝার একটি সুযোগ করে দেবে, যাতে মানুষের জন্য সংবেদনশীল মুহূর্তগুলো বজায় রাখার ক্ষেত্রে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া কি করতে পারে’, ভট্টাচার্য্য যোগ করলেন।
ছবিটি মুক্তির আগেই একটা প্রভাব ফেলেছিল।সুবিমল ভট্টাচার্য্য বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের অনুমতি নিয়েই ছবিটি তৈরি করেছিলেন। কারণ তার ছবির শুটিংয়ের জন্য সীমান্তের উভয় দিকের প্রবেশাধিকারের প্রয়োজন ছিল।তিনি এও জানতে পেরেছিলেন যে বিএসএফ গ্রামবাসীদের খুবই কাছাকাছি রয়েছে এবং প্রতিটি সম্ভাব্য উপায়ে বিএসএফ তাদের সহায়তা করছে। তিনি এই তথ্যচিত্রের কাজ করার সময় বিএসএফ কর্মকর্তারা বিশেষভাবে জড়িত হয়েছিলেন। তিনি এই গ্রাম তথা গ্রামবাসীর কথা যত বেশি জানতে পেরেছিলেন, ততই তাদের সঙ্গে কথাগুলো ভাগ করেছিলেন। এমনকি তিনি বিবেকানন্দ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কথাও বলেছিলেন, যে বিদ্যালয়টি ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং সাহায্যের খুবই প্রয়োজন ছিল। এরপর বিএসএফ কর্মকর্তারা বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেন এবং শেষ পর্যন্ত এটিকে গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেন। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন,বর্তমানে বিএসএফ প্রাথমিক বিদ্যালয়টির রক্ষণাবেক্ষণ করছে।
সুবিমল ভট্টাচার্যের মহাদেবপুরের গল্পকে ফুটিয়ে তোলার প্রচেষ্টাকে বিএসএফের স্ত্রী কল্যাণ সমিতি স্বীকৃতি দিয়েছে। এদিকে ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি এই প্রকল্পের জন্য সুবিমল ভট্টাচার্যকে সম্মানিত করেছিলেন।
Comments are closed.