Also read in

সাংসদ রাজদীপ রায়ের অগ্রাধিকারে থাকবে পর্যাপ্ত পানীয় জল সরবরাহ, নাগরিকত্ব বিল

শিলচরের সাংসদ ডক্টর রাজদীপ রায় সোশ্যাল মিডিয়ায় গত ২৬ মে তাঁর এক অনবদ্য অভিজ্ঞতার কথা সবার সঙ্গে ভাগ করেছেন, ” সংসদের ঐতিহাসিক সেন্ট্রাল হলে আমার প্রথম সভা ছিল, যেখানে আমরা মিলিত হয়েছিলাম শ্রী নরেন্দ্র মোদিকে ১৭ তম লোকসভায় বিজেপি সংসদীয় দল এবং এনডিএ’র নেতা নির্বাচন করার লক্ষ্যে।” শুধু তাই নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় তার পোস্টে তিনি এও যোগ করেন, ” এ আমার জীবনের এক স্মরণীয় দিন। আমাকে আপনাদের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দেবার জন্য আমার নির্বাচনী এলাকার জনগণকে অন্তর থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এটুকু বলতে পারি, আমি আপনাদের হতাশ করবো না। এ আমার প্রতিশ্রুতি।”

এখানে উল্লেখ করা যায়, রাজদীপ রায় কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দেবকে ৮১,৫৯৬ ভোটের বিরাট ব্যবধানে পরাজিত করেছেন। তিনি শিলচর নির্বাচনী এলাকায় ৫২.৫৯% ভোট পেয়েছিলেন। সিনিয়র সাংবাদিক বিশ্বকল্যাণ (তিলক) পুরকায়স্থকে নবনির্বাচিত সাংসদ গতকালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার অভিজ্ঞতা কথা জানালেন। রায় বলেন, প্রায় আট হাজার আমন্ত্রিত ব্যক্তি শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এক কথায় বলতে হয় অভূতপূর্ব! ভারতের ইতিহাসে রাষ্ট্রপতি ভবনে এত বিশাল সমাবেশ আগে দেখা যায়নি।”

 

রায়ের মতে ব্যক্তিগত মাইলস্টোন সম্পর্কে চিন্তা ভাবনা করার এখন আর সময় নেই। তার বদলে অবিলম্বে মনোনিবেশ করা উচিত শিলচর ও বরাক উপত্যকার উন্নয়নে কাজ শুরু করার জন্য। “পাঁচ বছর পর আমাদের শিলচরে বিজেপি জিতেছে। যদিও কেন্দ্রে আগেও এনডিএ সরকারই ছিল, কিন্তু শিলচর থেকে সাংসদ ভিন্ন দলের হওয়ার জন্য যতটা উন্নয়ন প্রয়োজন কিংবা সম্ভব ছিল, উন্নয়নের মাত্রাকে ততটা উপরে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। হ্যাঁ, তবে বলতেই হবে, ব্রডগেজ শুরু হয়েছে, গত পাঁচ বছরে সড়কের অবস্থাও অনেক উন্নত হয়েছে। তবে উন্নয়ন একটি দীর্ঘস্থায়ী প্রক্রিয়া তাই বরাক উপত্যকায় আরও উন্নয়নের প্রয়োজন। কাজেই পরবর্তী পাঁচবছর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে”, বললেন রায়।

এ অঞ্চলের উন্নয়নের কথা বলতে গিয়ে জানালেন, তিনি অবিলম্বে কাজ শুরু করতে চান। তার কথায়, “পরিকাঠামোর উন্নতি আমার প্রাথমিক লক্ষ্য গুলির মধ্যে অন্যতম। তবে আমার প্রথম অগ্রাধিকার হল বরাক উপত্যকার সমস্ত এলাকায় পানীয় জলের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করা। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এ বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমি আশাবাদী যে আমরা খুব শীঘ্রই এর সমাধান খুঁজে পাব।”

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে তিনি বলেন, “নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল, ২০১৬ এর সম্পর্কে আমরা ১০০% আন্তরিক। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটা পাশ করা যায় সেদিকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখা হবে। প্রয়োজন হলে আমি নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করব এবং এ বিষয়ে কথা বলব। তিনি ইতিমধ্যেই নাগরিকত্ব বিলের অবস্থান সম্পর্কে অবহিত রয়েছেন। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বাস্তবায়ন আমাদের বিজেপি দলের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলির মধ্যে অন্যতম।”

রাজদীপ রায় জানালেন যে তিনি গত ২৭ মে প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বিল বিষয়ে আলোচনা করেন। “যখন তার সঙ্গে মিলিত হই তখন আমি জানতাম না যে তার মন্ত্রিত্ব পরিবর্তিত হতে পারে। তবুও আমি এ কথাটা উল্লেখ করতে চাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে রাজনাথ সিং যতটা এই অঞ্চলের জন্য করেছেন তা সত্যিই অকল্পনীয় এবং আশা করছি, নতুন দায়িত্ব নিয়ে অমিত শাহ খুবই ভালো কাজ করবেন”।

Comments are closed.