Also read in

নৃশংস গণপ্রহারে গুরুতর আহত সুজিত দাস অবশেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন

 

গণপ্রহারের এক নৃশংস ঘটনা ঘটে গেল গত সোমবার রাতে শিলচর শহরের বুকে। ঘটনার শিকার সুজিত দাস মৃত্যুর সাথে লড়াই করে গতকাল শিলংয়ের নিগ্রিমস হাসপাতালে প্রাণ ত্যাগ করলেন।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত সোমবার রাত প্রায় ১০টার সময় স্কুটি নিয়ে রাঙিরখাড়ি- শ্মশান রোড অঞ্চলের শিব কলোনির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় একজন পথচারীর গায়ে ধাক্কা মারায় লোকটি মৃদু আহত হন। সাথে সাথে ওই স্থানে বেশ কয়েকজন লোক জড়ো হয়ে সুজিত দাসকে নৃশংসভাবে মারধোর করে; সুজিত দাস মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ঘটনার খবর পেয়ে পুর কমিশনার সজল বণিক উপস্থিত হন এবং তাকে সাথে সাথে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আঘাত গুরুতর থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে শিলং নিগ্রিমস হাসপাতলে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয় নি, পরদিনই মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে হার মানেন তিনি। এই নিয়ে তার ভাই দীপক রঞ্জন দাস শিব কলোনি অঞ্চলের রূপা পালের ছেলেদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।

“একজন স্কুটি চালককে নৃশংসভাবে গণপ্রহারের লিখিত অভিযোগ আমরা পেয়েছি। গুরুতর আহত অবস্থায় নিগ্রিমসে ভর্তি হওয়া ব্যক্তিটির মারা যাওয়ার খবরও আমাদের কাছে এসে পৌঁছেছে। আমরা এই বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে এই ঘটনার সাথে জড়িত প্রত্যেক দোষী ব্যক্তিকে আটক করব” বরাক বুলেটিনকে জানালেন পুলিশ অধীক্ষক রাকেশ রৌশন।

জানা গেছে, বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত সুজিত দাস মূলত বড়জালেঙ্গার বাসিন্দা হলেও শিলচরে তরুণী রোডে প্রাক্তন পুরপতি রাজেন্দ্র কুমার ব্রহ্মচারীর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন; মৃত দাসের স্ত্রী এবং ৮  বৎসর বয়সের এক শিশু সন্তান রয়েছে। তার এই শোকাবহ মৃত্যুর ঘটনায় শিলচর শহরে সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা এক প্রশ্ন চিহ্ন হয়ে দাঁড়াল।

Comments are closed.