Also read in

জয় দিয়ে লিগ শেষ করল ইন্ডিয়া ক্লাব, সুপার ডিভিশনে ফের হারলো ইটখোলা

নিজেরাই নিজেদের কাজটা কঠিন করে তুললো ইটখোলা এসি। ফলে এবার তাদের জন্য অপেক্ষা করছে এক কঠিন চ্যালেঞ্জ। বুধবার সুপার ডিভিশন লিগ কাম নকআউট ক্রিকেটে যোগাযোগ সংঘের বিরুদ্ধে এক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে খেলতে নামবে ইটখোলা। জিতলে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালের ছাড়পত্র আদায় করে নেবে তারা। তবে হারলেই বিপদ। সে ক্ষেত্রে যোগাযোগ যদি ওয়েসিস এর বিরুদ্ধে জিতে যায় তাহলে সেমিফাইনালের দৌড় থেকে ছিটকে যাবে ইটখোলা। সেই সঙ্গে হতে পারে অবনমন ও। কাজেই যোগাযোগ ম্যাচের উপরই এখন ইটখোলার ভাগ্য নির্ভর করছে। তবে মঙ্গলবার ইন্ডিয়া ক্লাবের বিরুদ্ধে ম্যাচটা জিতে নিলে এত কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না তাদের। উল্টো, কঠিন পরিস্থিতি থেকে ম্যাচ টা বের করে নেয় ইন্ডিয়া ক্লাব। তারা জেতে ১৯ রানে। এরফলে জয় দিয়েই লিগ শেষ করল ইন্ডিয়া ক্লাব। এবার তারা খেলবে সেমিফাইনালে।

টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ থেকেই ব্যাটিং ব্যর্থতায় ভুগতে হচ্ছে ইটখোলা কে। এদিনও এর ব্যতিক্রম হল না। জেতার মত অবস্থানে থেকেও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারলেন না সাদিক ইমরান চৌধুরিরা। আসলে তাদের লোয়ার অর্ডার যেন চাপ নিতেই পারছে না। ইন্ডিয়া ক্লাবের বিরুদ্ধে ব্যাটিং অর্ডারে রদবদল ঘটালেও ব্যাটসম্যানদের মানসিকতায় পরিবর্তন হলো না ইটখোলার। একাধিক ব্যাটসম্যান সেট হয়েও বড় ইনিংস খেলতে পারলেন না। যা তাদের হার নিশ্চিত করে দেয়।

সকালে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ইন্ডিয়া ক্লাব। তারা নির্ধারিত ৪০ ওভারে ৪ উইকেটে করে ২১৬। হাফ সেঞ্চুরি করেন বাঁহাতি ওপেনার পারভেজ মোশারফ (৫৮)। মিডল অর্ডারে অপরাজিত অর্ধশত রানের ইনিংস খেলেন রেহান জামিল মজুমদার (৫০)। তবে এদিন দলের পক্ষে সবচেয়ে কার্যকর ইনিংস খেলেন আরমান খান। তিনি কেবল ১৬ বলে অপরাজিত ৪০ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন। তার তার এই ইনিংসটাই ইন্ডিয়া ক্লাবকে দুশোর গণ্ডি পার করে দেয়। শেষ পাঁচ ওভারে পঞ্চাশের বেশি রান করে তারা। যা ম্যাচে বিরাট পার্থক্য গড়ে দেয়। এছাড়াও উল্লেখযোগ্য রান করেন গোবিন্দ রাজবংশী (২২), ইকরামুল আলী (১৫) ও প্রশান্ত কুমার (১২)। দুটি করে উইকেট নেন মান্তু দাস ও প্রকাশ ভগত।

জবাবে একটা সময় ইটখোলার স্কোর ছিল এক উইকেটে ৭৭। সেখান থেকে আট উইকেটে ১৯৭ রানে আটকে যায় তারা। ওপেন করতে নেমে দলের পক্ষে সর্বাধিক ৪০ রান করেন রাজদীপ দাস। এছাড়া বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য (৩৭), অমন সিং (২৪), শুভজিত পাল (২৪), সাদিক ইমরান চৌধুরী (২৪) ও অভিষেক চক্রবর্তী (১৫) রান করেন। শেষ ৩১ বলে ইটখোলার জয়ের জন্য দরকার ছিল ৪১ রান। হাতে ছিল পাঁচ উইকেট। কিন্তু তারা সেই চাপ নিতে পারেনি। শুধু এই ম্যাচে নয়, আগের প্রায় সবকটি ম্যাচে এভাবেই ভালো অবস্থান থেকে ম্যাচ হেরেছে ইটখোলা। দারুণ বোলিং করেন চন্দ্রদীপ দাস (৩-৪০) ও রুদ্রজিত ডেকা (২-২১)।

এই ম্যাচের পর পাঁচ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে লিগ শেষ করল ইন্ডিয়া ক্লাব। অন্যদিকে চার ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে রইল ইটখোলা এসি। ফলে এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি সেই অনুসারে ইটখোলা এসি, যোগাযোগ সংঘ এবং ক্লাব ওয়েসিস তিনটি দলের সামনেই সেমিফাইনালের দরজা খোলা রয়েছে। আবার একটু পা ফসকালেই হয়ে যেতে পারে অবনমন। তাই বুধবার ইটখোলা বনাম যোগাযোগ ম্যাচের উপর সবকিছু নির্ভর করবে।

Comments are closed.