শিলচর ডি এস এ আয়োজিত নারায়ন পাল স্মৃতি সুপার ডিভিশন লিগ কাম নকআউট ক্রিকেটে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিল টাউন ক্লাব। শনিবার সতীন্দ্র মোহনদেব স্টেডিয়ামে তারা ১৯৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে দেয় ক্লাব ওয়েসিস কে। প্রথম ম্যাচে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ান ইউনাইটেড ক্লাবের বিরুদ্ধেও সহজ জয় পেয়েছিল টাউন ক্লাব। উল্টোদিকে, এ নিয়ে টানা দু ম্যাচ হারলো ওয়েসিস।
সকালে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ওয়েসিস। তারা ভেবেছিল দলের জোরে বোলাররা সকালের প্রথম ঘণ্টায় উইকেট থেকে ভালো সাহায্য আদায় করে নেবেন। তবে তাদের এই স্ট্র্যাটিজি বুমেরাং হয়ে যায়। চলতি টুর্নামেন্টের রেকর্ড স্কোর খাড়া করে নেয় টাউন ক্লাব। তারা নির্ধারিত ৪০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে করে ৩২০। চলতি টুর্ণামেন্টে এটাই সর্বাধিক দলগত স্কোর। তাদের ইয়াসির আলী দুরন্ত অর্ধশতরানের ইনিংস খেলেন। তিনি করেন ৮৫। এতে ছিল ৯টি চার ও দুটি ছয়ের মার। মিডল অর্ডারে হাফ সেঞ্চুরি হাঁকান মুজিবুর আলীও। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান করেন ৬৩। তবে ফের ব্যর্থ হলেন জেলার দুই তারকা অভিষেক ঠাকুরি (২২) ও সমিক দাস (২৪)। এরমধ্যে রাজ্য দলের তারকা অভিষেক তো টানা দুই ম্যাচে রান পেলেন না।
এদিন খুবই বাজে ফিল্ডিং করেছে ওয়েসিস। ফিল্ডাররা চার-পাঁচটি ক্যাচ মিস করেছেন। গ্রাউন্ড ফিল্ডিংও ছিল বাজে। বোলারদের মধ্যে ছিল নিয়ন্ত্রণের অভাব। এরোই ফলস্বরূপ অতিরিক্ত হিসাবে ৪৯ রান পায় টাউন ক্লাব। এরমধ্যে হোয়াইড বল ছিল ৩৯। বড় স্কোর না করলেও উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন টাউনের কৃশানু দত্ত (৩০) ও শুভম মণ্ডল (১৯)। ৩ উইকেট নেন অরিজিৎ মহাপাত্র। তবে এদিন ওয়েসিসের সেরা বোলার ছিলেন তাপস দাস। চার উইকেট নেন তিনি।
জবাবে সামান্যতম প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি ওয়েসিস। তারা ২২.৩ ওভারে ১২৬ রানে অলআউট হয়ে যায়। ব্যাটিং অর্ডারে বেশকিছু রদবদল করলেও এ বিভাগে পারফরম্যান্স ভালো করতে পারেনি ওয়েসিস। তাদের সুরোজ যাদব দলের পক্ষে সর্বাধিক ৩০ রান করেন। এছাড়া অরিজিৎ মহাপাত্র ২২ ও শুভম রায় ১৪ রান করেন। অতিরিক্ত ১৯। তিন উইকেট নেন সুদর্শন সিনহা। দুটি পান শান্তনু ধর। এখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে ওয়েসিস কে ক্রিকেটের তিন বিভাগেই উন্নতি করতে হবে। না হলে কিন্তু সমস্যায় পড়ে যাবে তারা।
আগামীকাল ইন্ডিয়া ক্লাব খেলবে যোগাযোগ সংঘের বিরুদ্ধে।
Comments are closed.