Also read in

সুপার ডিভিশনের ফাইনালে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইউনাইটেড, ছিটকে গেল ইন্ডিয়া ক্লাব

টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে টাউন ক্লাবের বিরুদ্ধে মুখ থুবড়ে পড়েছিল তারা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচ থেকেই ঘুরে দাঁড়ায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইউনাইটেড ক্লাব। লিগে তেমন আহামরি ক্রিকেট খেলতে ব্যর্থ হলেও মঙ্গলবার সেমিফাইনালে দুরন্ত ক্রিকেট উপহার দিল ইউনাইটেড। এ সুবাদে সুপার ডিভিশন প্রাইজমানি লিগ কাম নকআউট ক্রিকেটের ফাইনালে স্থান করে নিল তারা। এদিন প্রতিযোগিতার প্রথম সেমিফাইনালে ইউনাইটেড ৫ উইকেটে হারিয়ে দেয় অন্যতম ফেভারিট ইন্ডিয়া ক্লাব কে। অথচ পারফরম্যান্সের বিচারে ম্যাচে এগিয়ে ছিল ইন্ডিয়া ক্লাব। কিন্তু নকআউট ম্যাচে নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলতে ব্যর্থ হলো তারা। যার ফলে ছিটকে যেতে হল।

এদিন সতীন্দ্র মোহনদেব স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ইউনাইটেড। উইকেটে ময়েশ্চার ছিল। এজন্যই ইন্ডিয়া ক্লাবকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় ইউনাইটেড। আর এই সিদ্ধান্তকে দারুণভাবে কাজে লাগান দলের বোলাররা। ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে ৩৮ ওভারে ১৪৩ রানে অলআউট হয়ে যায় ইন্ডিয়া ক্লাব। আসলে শুরু থেকেই তারা নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে। দলের একজনও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। এর জন্য কৃতিত্ব দিতে হবে ইউনাইটেডের বোলারদের। ভালো ফর্মে থাকা বাঁহাতি ওপেনার পারভেজ মোশাররফ (১৭) আশা জাগিয়েও ব্যর্থ হন। এছাড়া অধিনায়ক রেহান জামিল মজুমদার ও ইকরামুল আলীও কোন কামাল করতে পারেননি। প্রশান্ত কুমার দলের পক্ষে সর্বাধিক ৩০ রান করেন। এ ছাড়া লোয়ার অর্ডারে আরমান খান ২৩ ও অমরজ্যোতি কলিতা ২৮ রান করেন। বিপক্ষের ডানহাতি অফ স্পিনার সুকান্ত দে তিন উইকেট দখল করেন। এছাড়া অভয় যাদব ও নির্ঝর দাস নেন দুটি করে উইকেট। একটা সময় ইন্ডিয়া ক্লাবের স্কোর ছিল ৮ উইকেটে ৯৭। সেখান থেকে লোয়ার অর্ডারের ব্যাটিংয়ে লড়াই করার মত একটা স্কোর খাড়া করে তারা।

জবাবে ৩৫.২ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ইউনাইটেড। বলের পর ব্যাট হাতেও দুরন্ত পারফর্ম করেন সুকান্ত দে। তিনি খেলেন অপরাজিত অর্ধশত রানের ইনিংস। ৫৯ রান করেন সুকান্ত। এছাড়া উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন অনুভব দাস (৩২), রাজু দাস (২০) ও প্রদীপ সরকার (২২)। দুটি করে উইকেট নেন অমরজ্যোতি কলিতা ও চন্দ্রদীপ দাস। তবে উইকেটশূন্য থাকেন ইন্ডিয়া ক্লাবের বাঁহাতি স্পিনার রুদ্রজিত ডেকা। এটাই ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেয়। গোটা টুর্ণামেন্টে ধারাবাহিক পারফর্ম করলেও সেমিফাইনালে উইকেট পাননি এই বাঁহাতি স্পিনার। কৃপণ বোলিং করলেও রুদ্রজিত উইকেটশূন্য থাকায় বাকিদের উপর প্রচণ্ড চাপ পড়ে যায়। এরই ফায়দা নিয়ে বেরিয়ে যায় ইউনাইটেড ক্লাব।

Comments are closed.

error: Content is protected !!