Also read in

ভারতীয় বায়ুসেনার সফল অভিযান বরাক উপত্যকার রাজনীতিবিদরা কিভাবে নিলেন

সবাই যখন গভীর ঘুমে তখন ভারতীয় বায়ুসেনা কাশ্মীর সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে জঙ্গী ঘাঁটিগুলো গুঁড়িয়ে প্রায় ৩০০ জঙ্গী খতম করে সাফল্যের সঙ্গে অপারেশন শেষ করে ফিরে এলো। মঙ্গলবার ভোররাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে তিনটি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়ে বায়ুসেনার জওয়ানদের সাফল্যের বিজয়সূর্য উঠল ভোরের আকাশে।

উল্লেখ্য, একটি পাকিস্তান ভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন জইশ-ঈ-মহম্মদ কর্তৃক গত ১৪ ফেব্রুয়ারি এক আত্মঘাতী সন্ত্রাসী হামলা পরিচালিত হয়। সেই হামলায় ভারতের ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হয়েছেন।পুলওয়ামা আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় নিহত ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যুর বদলা নিল ভারতীয় বায়ুসেনা ঠিক ১২ দিন পর। এই অপারেশনের সাফল্যের খবর ছড়িয়ে পড়তেই সকাল থেকে উৎসব আর উল্লাসে মেতে উঠেন পুরো ভারতবর্ষের জনগণ। বরাক উপত্যকাও তার থেকে বাদ যায়নি। বরাক উপত্যকার জনগণের মধ্যেও উচ্ছ্বাস, উল্লাস পরিলক্ষিত হয়েছে। “উরি” সিনেমার সংলাপ বারবার ফিরে এসেছে সবার মুখে। তারই প্রতিফলন পরিলক্ষিত হয়েছে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম গুলোতেও।

বরাক বুলেটিনের পক্ষ থেকে বরাক উপত্যকার বিশিষ্ট রাজনীতিবিদদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

সুস্মিতা দেব , সারা ভারত মহিলা কংগ্রেস কমিটির সভানেত্রী ও শিলচরের সাংসদ

” আমি সফল অপারেশনের জন্য ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমরা যে আমাদের জওয়ানদের মূল্যবান জীবন হারিয়েছি সে ক্ষতিতো পূরন হবার নয়, কিন্তু তবুও আজ এটা স্পষ্ট যে, ভারতকে আর এত সহজভাবে নিতে পারবে না কেউ।

দিলীপ পাল, শিলচরের বিধায়ক, প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার, আসাম সরকার

“ভারতমাতাকে যারা ভালবাসেন, তারা সবাই আজ খুশি। তবে, আমাদের সতর্ক থাকতে হবে কারণ প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দুই জনই বলেছেন, বাইরের শত্রু থেকে ঘরের শত্রু বিপজ্জনক। ভারতবর্ষে, আসামে এমনকি শিলচরেও এরকম কিছু রাষ্ট্রদ্রোহী, পাকিস্তানের এজেন্টরা রয়েছে। তাদেরকে সনাক্ত করতে হবে, তাদের সম্পর্কে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে প্রশাসনকে। আর এটা তো শুধু সূচনা, পাকিস্তানকে এমন শিক্ষা দিতে হবে যে ভারত কিংবা ভারতীয় সেনাবাহিনীর দিকে চোখ তুলে যেন আর না তাকাতে পারে।”

দুলাল মিত্র, সাধারণ সম্পাদক, সিপিআইএম, কাছাড়

“আমাদের বক্তব্য হচ্ছে সন্ত্রাসবাদকে নিন্দা করা উচিত , এর যে কোনও ভাবেই মোকাবিলা করতে হবে। তবে দল হিসেবে আমরা শান্তি ও সম্প্রীতির স্বপক্ষে। আমরা বিশ্বাস করি, পৃথিবীর সর্বত্র শান্তি ও সম্প্রীতি পুনঃস্থাপন করা উচিত। ফেসবুক কিংবা যে কোন সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার অধিকার সবারই রয়েছে। তবে এই প্রতিক্রিয়া যদি আমাদের দেশের ঐক্য ও সংহতির জন্য ক্ষতিকারক হয়, তবে সেটি অবশ্যই আমাদের কাম্য নয় এবং আমরা সমর্থন করতে পারি না।”

Comments are closed.