"উৎসবের দিনে ডিটেনশন ক্যাম্পে যারা রয়েছেন তাদের পাশে দাঁড়ানো আমার কর্তব্য", মিষ্টি খাইয়ে বললেন সুস্মিতা দেব
পরিবারের সবার সঙ্গে মিলে বিজয়া দশমী পালন করতে সবাই পছন্দ করেন। কংগ্রেস নেত্রী তথা শিলচরের প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দেব পরিবারের পাশাপাশি ডিটেনশন ক্যাম্পে বসবাসকারী লোকজনদের সঙ্গে মিলে বিজয়া দশমী পালন করলেন। বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা জানাতে মিষ্টি আর ফলমূল নিয়ে তিনি পৌঁছে যান ডিটেনশন ক্যাম্পে।তাদের মধ্যে মিষ্টি ও ফলমূল বিতরণ করে তিনি সমস্যায় জর্জরিত মানুষগুলোর মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করলেন।
যারা বিদেশি হিসেবে চিহ্নিত কিংবা যাদের বিদেশি শনাক্তকরণের কেস এখনো বিচারাধীন, ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি সেই মানুষদের পাশে দাঁড়ানো আমি নৈতিক কর্তব্য বলে মনে করি। উৎসবের এই আনন্দঘন মুহূর্তে বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা জানিয়ে তাদের মিষ্টিমুখ করানোর ইচ্ছের তাগিদেই আমার এখানে ছুটে আসা, জানালেন প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দেব।
তিনি দুঃখ করে বলেন, যারা এনআরসি সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান হবে বলে দাবি করছেন তাদের পক্ষ থেকে কেউ এসে এই ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি জনগণের পাশে দাঁড়ায়নি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা পুজোর সময় শিলচর ঘুরে গেলেন। এমনকি তিনি ৪০ থেকে ৪৫ টি মন্ডপে ঘুরে দুর্গাপূজা উপভোগ করলেন। অথচ ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি জনগণকে দেখতে একবারটিও এলেন না।আমার মতে, যারা এত বছর ধরে ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি, তাদেরকে সাহস যোগাতে এই জনগণের পাশে এসে তার দাঁড়ানো উচিত ছিল, বললেন সুস্মিতা।
তিনি আরো জানান, ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি জনগণের সঙ্গে তাদের সমস্যা নিয়ে তিনি আলোচনা করেছেন। বেশিরভাগেরই আবেদন পত্র এখনো বিচারের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের সব ধরনের সাহায্য করতে তিনি প্রস্তুত বলে ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি জনগণকে আশ্বাস প্রদান করেন।
Comments are closed.