Also read in

ভাইরাল ভিডিও : কাঁধে চাপা নিয়ে মুখ খুললেন সুস্মিতা, "অন্য উপায় ছিল না"

বেটি বাচাও বেটি পড়াও বিজেপির স্লোগান তবে সেই ‘বেটি’ কথা বললে গলা চেপে ধরেন তাঁরা। আরএসএস এবং বিজেপির আদর্শ এটাই, তাঁরা মেয়েদের ঘরের কোনে আটকে রাখতে বিশ্বাসী। তাই একজন মহিলা হয়ে প্রতিবাদ প্রদর্শনকে ঘিরে এত আজ আজেবাজে কথা বলছে। সোমবার ভারত বন্ধের সময় দিল্লীতে প্রদর্শন করার সময় পুলিশ আমাদের হেনস্থা করেছে তাই আমাকে আত্মরক্ষার জন্য একজন কর্মীর কাঁধে চড়ে প্রতিবাদ দেখাতে হয়, এমনটাই জানালেন শিলচরের সাংসদ তথা মহিলা কংগ্রেসের জাতীয় সভানেত্রী সুস্মিতা দেব।

কি হয়েছিল সোমবার !
এদিন বিকালে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ৩২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সুস্মিতা দেব একজন পুরুষের কাঁধে চড়ে চিৎকার করে স্লোগান দিচ্ছেন।

32-second clip.

 

 

উল্লেখ্য, পেট্রো পন্যের মুল্যবৃদ্ধি সহ কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে কংগ্রেস তথা বাম দলগুলোর ভারত বন্ধের বিস্তর প্রভাব দেখা যায় সারা দেশে। দিল্লীতে কংগ্রেসের নেত্রী সুস্মিতা দেব সহ শর্মিষ্ঠা মুখার্জি এবং অন্যান্য নেত্রীরা প্রতিবাদী ধর্ণা দিতে জড়ো হন। সুস্মিতার অভিযোগ, এদিন পুলিশের পুরুষ আধিকারিকরা মহিলাদের গায়ে হাত দেয়, তাঁদের বারবার ধাক্কা দিতে থাকে, বাধ্য হয়েই দলের পুরুষ কর্মকর্তাদের এগিয়ে আসতে হয়। “পুলিশের ব্যবহারে আমি অপমানিত বোধ করি এবং বাধ্য হয়ে একজন কর্মীর কাঁধে চেপে স্লোগান দেই। তবে এতে অন্যায় কোথায় এটা বুঝতে পারছি না। সোমবার বিকাল থেকেই নাকি সোশ্যাল মিডিয়াতে নানাভাবে আপত্তিকর মন্তব্য আসতে থাকে। এর আসল কারন হচ্ছে, সোমবারের বনধ সর্বাত্মকভাবে সফল। মুল্যবৃদ্ধি নিয়ে মানুষের মনে বিজেপির প্রতি যে ক্ষোভ রয়েছে, তা ঢাকতেই এসব উল্টোপাল্টা বিষয় নিয়ে প্রচার করছেন দলের কর্মকর্তারা।”- বললেন সুস্মিতা।

সুস্মিতা নিজে একজন আইনজীবী, তিনি দিল্লী পুলিশের পুরুষ আধিকারিকদের মহিলাদের গায়ে হাত দেওয়া নিয়ে কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানান। তাঁর কথায়, “মহিলাদের আটকাতে মহিলা পুলিশ রাখতে হয়, এটুক জানেনা বর্তমান সরকার। আর এসব নিয়ে কথা না বলে, সবাই আমাকে নিয়ে ব্যঙ্গ করতেই ব্যস্ত। বিজেপি এটাই চায় যাতে মানুষ তাদের শোষনের কথা ভুলে আজেবাজে বিষয় নিয়ে ব্যস্ত থাকেন।”

 

 

বরাক উপত্যকার একাংশ জনগণের প্রশ্ন, কেন একজন মহিলা রাজনীতিবিদের এমন একটি কাজ করবেন। অনেকে বলছেন সন্তোষ মোহন দেবের মেয়ে এমনটা করবেন, ভাবা যায়না। কেউ কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় এসব নিয়ে যুক্ত তর্ক করছেন।
অনেকে আবার পাল্টা প্রশ্ন করছেন। তাঁদের কথায়, আমরা রাজনীতির উর্ধ্বে এসে যদি একে দেখি, তবে বলব, কেন একজন মহিলা এটা করতে পাবেন না? সচিন তেন্ডুলকর বা সৌরভ গাঙ্গুলী অবসর নেবার সময় সহখেলোয়াড়রা তাঁদের কাঁধে নিয়ে মাঠে ঘুরলে আমরা আপত্তি করিনা।

এমনকি ২০১৬ সালে অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ পদক জেতার পর হরিয়ানার মেয়ে সাক্ষী মালিককে কাঁধে নিয়ে খুশি ব্যক্ত করেন তাঁর কোচ। এতে আমাদের অসুবিধা হয়নি, তবে সুস্মিতা তার নিজের রাজনৈতিক ময়দানে এমনটা করতে পারবেন না কেন?

Sakshi Malik’s Coach Kuldeep Singh Carries Her On His Shoulder

 

Comments are closed.