Also read in

দশ কোটির ড্রাগস সহ বদরপুরে আটক পাথারকান্দির এক যুবক

প্রায় এক কিলো ওজনের ইয়াবা ট্যাবলেট সহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে করিমগঞ্জ পুলিশ। কাছাড় থেকে করিমগঞ্জ হয়ে আগরতলা নিয়ে যাওয়ার পথে আটক করা হয়েছে নিষিদ্ধ ড্রাগস সহ যুবকটিকে।

বদরপুর পুলিশের অভিযানে দশ কোটি টাকার অধিক পরিমানে ড্রাগস উদ্ধার হয়। সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় এক পাচারকারীকে। পুলিশ সূত্রে বলা হয়েছে, বুধবার সকাল দিকে বদরপুর থানায় গোপন সূত্রে খবর আসে, ডিমাপুর থেকে বড়মাপের নেশা জাতীয় ক্যাপসুল পাচার হবে। বদরপুর জাতীয় সড়ক দিয়ে ত্রিপুরা হয়ে বাংলাদেশে পাঠানো হবে ড্রাগসের প্যাকেট।

খবর পাওয়া মাত্রই বদরপুর থানার ওসি বিনয় কুমার বর্মন দলবল নিয়ে থানার সামনে ছয় নম্বর জাতীয় সড়কে নাকাবন্দি লাগিয়ে দেন। এক সময় গোপন সূত্রের সংকেত অনুযায়ী একটি সাদা রঙের ওয়াগনার গাড়ি এলাকায় আসে, গাড়ির নম্বর এএস ১০ই১৩৩৯। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ গাড়িটিকে আটক করে। আটক হওয়া পাচারকারী এবং চালক পাথারকান্দি এলাকার সব্বির আহমদ (৩০)-কে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর তল্লাশি করে গাড়ির ভেতরে গোপন স্থানে আলাদা বক্স করে রাখা বেশ কিছু পরিমাণে ড্রাগসের ব্যাগ ও সাবান রাখার কেসের ভেতরে রাখা ইয়াবা টেবলেট উদ্ধার করা হয়।

একই সময় আরেকটি গাড়ি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। বদরপুর থানার ওসি বিকে বর্মণের নির্দেশে একটু পরে পুলিশ গাড়ি আটক করে। প্রাথমিক তদন্তে গাড়িতে কিছুই পাওয়া যায়নি। এরপর গাড়ির চালক সাব্বির হুসেনকে ধমক দিলে সে ওয়াগনারের পেছনের চাকা একটু উপরে তোলে, এরপর ওয়াগনারের পেছনের প্লেটের ভিতর থেকে বিপুল পরিমানের ব্রাউন সুগার উদ্ধার হয়। এক কিলো, একশ তিরিশ গ্রাম ওজনের এই ব্রাউন সুগার বত্রিশটি সাবান কেসের মধ্যে ছিল। পুলিশ সাব্বিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে তাঁর বাড়ি পাথারকান্দি থানা এলাকার বাগেরসাঙ্গনে। সে সামগ্রীগুলি বাংলাদেশে পাচারের জন্য ডিমাপুর থেকে এনেছিল। তাঁর সঙ্গে থাকা আছিমগঞ্জের আরেকটি যুবককেও পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

জব্দ হওয়া নেশাসামগ্রীর বাজার মূল্য আনুমানিক দশকোটি টাকা হবে বলে অনুমান করেন বদরপুর পুলিশ। তাছাড়াও এই খবর পাওয়া মাত্র করিমগঞ্জ থেকে ছুটে আসেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জ্যোতি রঞ্জন নাথ।পাচারকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও অতিরিক্ত তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে পুলিশ।

পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এ বছরের সেরা ঘটনা এটি। এত বড় পরিমাণে ট্রাক আটক এই বছরে আর হয়নি। তবে একই সঙ্গে এত বড় পরিমাণের ড্রাগস পাচারের চেষ্টা যখন হয়েছে এর পিছনে কোন আন্তর্জাতিক চক্রের যোগ রয়েছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Comments are closed.