Also read in

মঙ্গলবার কাছাড়ে আক্রান্ত ২৪৮ জন, মারা গেলেন দুই ব্যক্তি

দেশের অন্যান্য এলাকার মতো কাছাড় জেলায়ও প্রতিদিন করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী থাকছে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। মঙ্গলবার কাছাড় জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৪৮ জন ব্যক্তি। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে দুজনের।

এদিন শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে, তার নাম শীতু রায়, বয়স ৬০ বছর। ২৭ এপ্রিল বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এবং তার আরটিপিসিআর পরীক্ষায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ সনাক্ত করা হয়েছিল। মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় হাসপাতালে আইসিইউ ওয়ার্ডে তার মৃত্যু হয়েছে।

এছাড়া লিপিকা চৌধুরী নামের এক মহিলা গ্রীন হিলস হাসপাতলে প্রাণ হারিয়েছেন এবং তার শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছিল। হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২ মে পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অবস্থায় তিনি সেখানে ভর্তি হয়েছিলেন, প্রাথমিক পরীক্ষায় তার শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া যায়। মঙ্গলবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে এখনও শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়নি, ডেথ অডিট বোর্ড অনুমতি দিলে মৃতদেহ হাসপাতাল থেকে রিলিজ করা হবে।

স্বাস্থ্যবিভাগের তরফে ডাঃ ইব্রাহিম আলী জানিয়েছেন, মঙ্গলবার কাছাড় জেলায় রেপিড এন্টিজেন টেস্টে ১২৭ জন এবং আরটিপিসিআর পরীক্ষায় ১২১ জনের সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে। জেলায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন ১০৫ জন, এরমধ্যে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রয়েছেন ১০৫ জন। সিভিল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৩ জন, গ্রিন হিলস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২৭ জন, গ্রেসওয়েল হাসপাতালে ১৭ জন, সেনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৮ জন, দয়াপুর সিআরপিএফ হাসপাতালে ৫ জন এবং বাড়িতে চিকিৎসাধীন ৫৩৪ জন।

এখন পর্যন্ত কাছাড় জেলায় মৃত্যু হয়েছে ১৫০ জনের, এরমধ্যে ৩৯ জনের মৃত্যুর জন্য সরাসরি করোনা ভাইরাসকে দায়ী করেছে ডেথ অডিট বোর্ড। বাকি ১১১ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থাকলেও তাদের মৃত্যুর জন্য অন্যান্য উপসর্গকেই দায়ী করা হয়েছে।

মঙ্গলবার কাছাড় জেলায় রেপিড এন্টিজেন টেস্ট পরীক্ষা হয়েছে। ২১০৭ জনের এরমধ্যে ১২৭ জন পজিটিভ হয়েছেন এবং ১৯৮০ জনের রেজাল্ট নেগেটিভ হয়েছে। অর্থাৎ সংক্রমনের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত কয়েকমাসের পরীক্ষা এবং সংক্রমণের সংখ্যা তুলনা করলে মঙ্গলবারের সংখ্যা সব থেকে বেশি।

Comments are closed.