Also read in

 তিন মাস দেরি করেও ভুলে ভরা রেসাল্ট দিলো আসাম বিশ্ববিদ্যালয়, উপাচার্যের দ্বারস্থ ছাত্রছাত্রীরা

ইউজিসির নিয়ম অগ্রাহ্য করে স্নাতক স্তরের পরীক্ষা শেষ হওয়ার তিন মাস অতিক্রম করে ফলাফল ঘোষণা করেছেন আসাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তার পরও চূড়ান্ত ভুলে ভরা একটি ফলাফল তালিকা তৈরী করা হয়েছে এবং এতে ছাত্রছাত্রীদের চরম হেনস্তা হতে হচ্ছে, এমনটাই অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশ ছাত্রছাত্রীদের।

বৃহস্পতিবার তারা এক স্মারক পত্রের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দিলীপ চন্দ্র নাথের কাছে তাদের অসন্তোষের কথা জানান। তাদের অভিযোগ, পরীক্ষার্থীদের মার্কশিটে কেউ শূন্য পেয়েছেন তো কেউ পাঁচ পেয়েছেন। কেউ যে বিষয়ে পরীক্ষাই দেননি সেই বিষয়েও রেসাল্ট এসেছে অথচ যেসব বিষয়ে পরিশ্রম করে পরিক্ষা দিয়েছেন তার উল্লেখও নেই মার্কশিটে। কেউ পরীক্ষায় শূন্য পাবে এটা স্বাভাবিক নয়। ইউজিসির নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যেই ফলাফল ঘোষণা করতে হয় তবে এবার প্রায় ১০০ দিনের পর ঘোষণা করার কি দরকার ছিল? এটি একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ভারতবর্ষের অন্য কোনও কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা নিয়ে এতটা অনিয়ম হয়না।

আগে থেকেই দেরীতে রেসাল্ট দেওয়ার জন্য মানসিক ভাবে চাপে ছিলেন ছাত্রছাত্রীরা, এবার এই ভুলে ভরা মার্কশিট নিয়ে কি হবে তাদের ভবিষ্যৎ, এটাই প্রশ্ন ছাত্রছাত্রীদের।
তারা এব্যাপারে উপাচার্যের সরাসরি হস্তক্ষেপ দাবি করেন এবং ভবিষ্যতে যাতে এর পুনরাবৃত্তি না হয় তা নিয়ে শক্ত পদক্ষেপ নিতেও অনুরোধ করেন।

 

 

 

উপাচার্য দিলীপ চন্দ্র নাথ ছাত্রছাত্রীদের আশ্বাস দেন যে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হবে এবং ভবিষ্যতে এসব যাতে না ঘটে তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে

তিনি বলেন, আমরা ছাত্রছাত্রীদের এই দুর্ভোগের ব্যাপারে অবগত এবং চিন্তিত। তবে এই দেরীর জন্য কিছু আভ্যন্তরীণ অসঙ্গতি আংশিকভাবে দায়ী। তাছাড়া ইউজিসির তরফে শৈক্ষিক পদ্ধতিতে কিছু পরিবর্তন করা হচ্ছে। গ্রীষ্মকালীন ছুটি মে মাসের বদলে জুলাইতে হবে। এধরনের আরও কিছু পরিবর্তন হচ্ছে তবে এসব কারণে রেসাল্টে অসঙ্গতি হবে তা ঠিক নয়। আমরা ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে কড়া নজরদারী রাখব।
উল্লেখ্য, জাতীয় স্তরের ১০০ সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় আসাম বিশ্ববিদ্যালয় ৮৭ নম্বরে রয়েছে। কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ মন্ত্রকের পক্ষে সম্প্রতি এবছরের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে অবশ্য গত কয়েক বছরের তুলনায় কয়েক ধাপ এগিয়েছে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়। তবে এধরনের অসঙ্গতি হতে থাকলে আগামীতে সেরা ১০০ এর তালিকা থেকে বাদ পড়লেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবে না।

Comments are closed.