Also read in

শিক্ষক জাতির মেরুদন্ড,সেই মেরুদন্ডতেই ঘুণ ধরেছে : নকল করতে গিয়ে গ্রেপ্তার ৫ শিক্ষক,শিক্ষিকা

ছাত্র-ছাত্রীদের উপদেশ দিতে অভ্যস্ত শিক্ষক- শিক্ষিকারা নিজেরাই নকলের দায়ে গ্রেফতার হলেন; এমনটাই ঘটল গতকাল ডিএলএড পরীক্ষায় ।

কথায় বলে চোরের মায়ের বড় গলা, নকল করতে গিয়ে ধরা পড়েও মনিটরিং অ্যান্ড সুপারভাইজিং অফিসারকে হেনস্থা করলেন এই পাঁচজন শিক্ষক-শিক্ষিকা। ফল যা হওয়ার তাই হল, ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল এই শহরেরই রাধামাধব কলেজে।

গ্রেফতার হয়েছেন নরসিংপুর বল্লভ আমুসানা এম ই স্কুলের প্রধান শিক্ষক অশ্বিনী সিংহ, উদারবন্দ টিকলপাড় এমই স্কুলের সহকারি শিক্ষক আবদুল হক বড়ভূঁইয়া, নিজ কাটিগড়া এমই স্কুলের সহকারি শিক্ষক জহিরুল আলম মজুমদার, বাঁশকান্দির রহমানিয়া প্রি সিনিয়র মাদ্রাসার বিজ্ঞান শিক্ষিকা রুহিনুর বেগম এবং কাবুগঞ্জ পাথারিগ্রাম এলপি স্কুলের সহকারি শিক্ষিকা জুবেদা বেগম বড়ভূঁইয়া। এর মধ্যে জহিরুল আলম আবার কাছাড় জেলার এমই টিচার্স এসোসিয়েশনের সম্পাদক। গ্রেফতারের পর পাঁচজনের ঠাঁই হয়েছে হাজতে।

এই পরীক্ষার মূল কেন্দ্র নর্মাল স্কুল হলেও সাব-ভেন্যু হিসেবে পরীক্ষা গ্রহণ করা হচ্ছে রাধামাধব কলেজ, দেশভক্ত তরুণরাম ফুকন হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল এবং তারাপুর গার্লস হাইস্কুলে। গতকাল ছিল বাংলা বিষয়ের পরীক্ষা। উদারবন্দের ডায়েটের অধ্যক্ষা অতসী ধর দাস লস্কর ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিং অ্যান্ড সুপারভাইজিং অফিসারের দায়িত্ব পালনে রাধামাধব কলেজে গিয়ে কয়েকজন পরীক্ষার্থীকে নকল করতে দেখেন । তাদের ধরতে গেলে উল্টে পরীক্ষার্থীরা তার ওপর চড়াও হয়ে নিগৃহীত করার চেষ্টা করেন। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে ১৯ টি কক্ষের সকল পরীক্ষার্থীরা একযোগে হল থেকে বেরিয়ে আসেন। সঙ্গে সঙ্গে জেলা শাসককে অবহিত করা হয়। একটু পরে পরীক্ষার্থীরা আবার পরীক্ষা দিতে বসেন। জেলাশাসকের নির্দেশে রাঙ্গিরখাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাহাবুদ্দিন ভূঁইয়া পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর এই পাঁচজনকে গ্রেফতার করেন। ধৃত ৫ জন এই অভিযোগ অস্বীকার করলেও রাঙিরখাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাহাবুদ্দিন বড়ভূঁইয়া জানিয়েছেন যে, সিসি ক্যামেরার রেকর্ডিং দেখেই হেনস্থাকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়াও অতসী দাস লস্কর নিজেও এই ৫ জনকে শনাক্ত করেছেন।
ধৃতদের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন জানালেও ম্যাজিস্ট্রেট রূপশ্রী দেব আবেদন খারিজ করে তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করেন।

Comments are closed.