নাবালিকার মৃত্যুর পর শিলচর শহরের আশ্রম রোডে উত্তেজনা, ভাঙচুর; গুলি চালালো পুলিশ
শিলচর শহরের আশ্রম রোড এলাকার এক নাবালিকা গত রবিবার থেকে নিখোঁজ ছিল। আজ তার মৃতদেহ শহরের মধুরাঘাট থেকে উদ্ধার হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ আশ্রম রোড এলাকার অপর একজন এই নাবালিকার অপহরণ এবং খুনের জন্য দায়ী।
এই ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে স্থানীয় জনতা ভাঙচুর শুরু করে, সাধারণ নাগরিকের মোটরসাইকেল জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। উত্তেজিত জনতা নিরাপত্তারক্ষীদের ওপর ও পাথর বর্ষণ শুরু করে। নবালিকা হত্যায় অভিযুক্ত রনি দাসের আত্মীয়-স্বজনের দুটো দোকান ও জ্বালিয়ে দেয় স্থানীয় জনতা। এদের ছত্রভঙ্গ করতে শেষমেষ পুলিশকে শূন্যে গুলি চালাতে হয়।
অভিযুক্তকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে, এই কথা উত্তেজিত জনতাকে বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করেন পুলিশ আধিকারিক। কিন্তু জনতা ভাঙচুর এবং লুটপাট চালিয়ে যায়; এদের মধ্যে অনেকে নেশাসক্ত ছিল বলে জানা গেছে।
দক্ষিণ আসামের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ দেবজ্যোতি মুখার্জি, ডিএসপি কল্যাণ কুমার দাস, শিলচর সদর থানার ওসি চন্দন বড়া, তারাপুর থানার আইসি আনন্দ মেহেদী ঘটনাস্থলে ছুটে যান। ১৪৭ সিআরপিএফ ও দমকল বাহিনীর ইঞ্জিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়োগ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে সক্ষম হয়েছে নিরাপত্তারক্ষীরা এবং বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণাধীন।
গত রোববার এক নাবালিকা ওই এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়েছিল এবং প্রাথমিক এজাহার দাখিল করা হয়েছিল ন্যাশনাল হাইওয়ে পুলিশ পেট্রোল পোস্টে। নাবালিকার পিতার বক্তব্য অনুযায়ী এই নাবালিকাকে গণধর্ষণ করেছে ৬ জন দুর্বৃত্ত। এই ছয়জনের ফাঁসির দাবী করছেন তারা।
Comments are closed.