Also read in

পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া'র মিছিল নিয়ে বদরপুরে উত্তেজনা, জারি ১৪৪ ধারা

পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (পিএফআই)র সদস্য হিসাবে নিজেদের পরিচয় দেয় এমন একদল লোক করিমগঞ্জ জেলার বদরপুরের বুন্দাশিল এলাকায় একটি প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। ত্রিপুরায় কথিত সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদস্বরূপ সমাবেশটি সংগঠিত হয়েছিল।

র‌্যালিটি বুন্দাশীল এলাকায় পৌঁছালে স্থানীয় মুসল্লিরা বিপুল সংখ্যায় বের হয়ে সমাবেশ প্রতিহত করে। গাঁও পঞ্চায়েতের সদস্য বলেন, বহিরাগতরা বুন্দাশিলে এসে উস্কানিমূলক ও মানহানিকর স্লোগান তুলে এলাকার অপমান করছে। উভয় গ্রুপের মধ্যে মৌখিক দ্বন্দ্ব তীব্রতর হয় এবং তখনই, ডিএসপি হেডকোয়ার্টার, করিমগঞ্জ পুলিশ, দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নিতে ঘটনাস্থলে ছুটে যান।

ডিএসপি প্রথমে স্থানীয়দের আলাদা করে তাদের নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান। তারপর তিনি বিক্ষোভকারীদের তাদের এলাকা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন এবং তাদের বেশিরভাগই বলেন যে, তারা কালাইন এলাকার। তারা বদরপুরে জড়ো হয়েছিলেন এবং তারপরে ত্রিপুরায় কথিত সহিংসতার বিরুদ্ধে তাদের মিছিল শুরু হয়েছিল। তারা ত্রিপুরা সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়।

করিমগঞ্জ পুলিশের ডিএসপি সদর নিশ্চিত করেছেন যে, বিক্ষোভকারীরা নিজেদের পিএফআই সদস্য বলে পরিচয় দিয়েছে। বিনা অনুমতিতে বিক্ষোভ করার জন্য ৩২ জন বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়। ছয় ঘণ্টা পর বদরপুর থানা থেকে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। ডিএসপি বলেছেন যে, পিএফআই বিক্ষোভকারী এবং বুন্দাশীল এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল; যার কারণে কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল।

অন্যদিকে পিএফআই সদস্যরা বলেছেন যে, তাদের আটক করা বেআইনি এবং গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে। “আমাদের নবীকে প্রকাশ্যে লাঞ্ছিত করা হচ্ছে এবং এই জঘন্য কাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য আমাদের অনুমতি নিতে হবে? সময় এসেছে আমাদের সকলের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এবং একসাথে থাকার। আমাদের নবীকে গালাগাল করা হয় এবং অপমান করা হয়, আমরা কখনো তা মেনে নেব না,” মুক্তি পাওয়ার পর বক্তৃতা দেওয়ার সময় একজন পিএফআই সদস্য বলেন।

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে করিমগঞ্জ জেলার ডেপুটি কমিশনার, খগেশ্বর পেগু ১৪৪ ধারা জারি করেছেন৷ ” বাংলাদেশ এবং ত্রিপুরার সাম্প্রতিক ঘটনায় মিডিয়াতে বিভিন্ন ধরনের রিপোর্ট করা হচ্ছে, ফলে জনসাধারণের মধ্যে শান্তি ভঙ্গের যথেষ্ট আশঙ্কা রয়েছে। উল্লিখিত উদ্দেশ্যে জনসমাবেশের কারণে মানুষের জীবন ও সম্পদের ক্ষতি হতে পারে। অতএব, আমাকে অর্পিত ক্ষমতা প্রয়োগে U/S 144 Cr.PC নং ধারায় আমি খগেশ্বর পেগু, ACS, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, করিমগঞ্জ এতদ্বারা নিষেধাজ্ঞামূলক আদেশ জারি করছি।” করিমগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে জারি করা আদেশে বলা হয়েছে।

“করিমগঞ্জ জেলায় শান্তি ভঙ্গকারী কোনো মিছিল/সমাবেশ/ধর্না/লিফলেট/ব্যানার এবং পোস্টার ইত্যাদি বিতরণের অনুমতি দেওয়া হবে না,” আদেশে বলা হয়েছে।

Comments are closed.