নাগা ন্যাশনাল কাউন্সিলের সদস্য ডেভিড রংমাইকে গুলি করে হত্যা করল বন্দুকধারীরা, জিরিঘাটে আবার তীব্র উত্তেজনা
আজ ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ জিরিঘাট থানাধীন রংমাই বস্তি এলাকায় গুলির শব্দে ঘুম ভাঙে স্থানীয়দের। তিনজন ভারী অস্ত্রধারী মুখোশধারী লোক বস্তিতে প্রবেশ করে এবং নাগা ন্যাশনাল কাউন্সিলের সদস্য ডেভিড রংমাইয়ের বাড়িতে যায় এবং তাকে বেরিয়ে আসতে বলে। ডেভিড তার একমাত্র বাচ্চাটাকে তার স্ত্রীর কাছে রেখে বেরোল। কিন্তু তখন সে কি জানতো যে সে আর কখনো ফিরে আসবেনা।
স্থানীয়দের মতে, মুখোশধারীরা ডেভিডকে উতরাইয়ের দিকে নিয়ে যায় এবং তারপর গুলি চালায়। “প্রথমে তারা ছোট বন্দুক দিয়ে গুলি চালায় , তারপর বড় বন্দুক দিয়ে। ডেভিড ঘটনাস্থলেই মারা গিয়েছিল,” স্থানীয় এক প্রবীণ নাগরিক বলেন।
“আমরা জানি না তারা কারা এবং কেন তারা ডেভিডকে হত্যা করেছে। আমাদের কাছে তাদের সংস্থা সম্পর্কেও কোনো তথ্য নেই,” বয়স্ক নাগরিক যোগ করেন। এদিকে, গ্রামের মহিলা বাসিন্দারা হত্যার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনার দাবিতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে।
ঘটনাটি স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে জানানোর সঙ্গে সঙ্গে কাছাড়ের পুলিশ সুপার ডাঃ রমনদীপ কৌর, লক্ষীপুরের এসডিপিও কুলপ্রদীপ ভট্টাচার্য ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এক বিশাল বাহিনী তাদের সাথে আসে এবং তারা বিষয়টি তদন্ত শুরু করে। তিনি সংবাদমাধ্যমকে ব্রিফ করেন, “মৃত ব্যক্তি সম্প্রতি তার বন্দুক নামিয়ে জনজীবনে ফিরে এসেছেন। আমরা এখন পর্যন্ত যা সংগ্রহ করেছি, তা হল কিছু আর্থিক অনিয়ম ধরা পড়ার পরে তাকে চলে যেতে হলো। আমাদের তদন্ত অনুসারে, তার সহকর্মীরা আজ সকালে তার বাড়িতে প্রবেশ করে এবং তাকে হত্যা করে”
এসপি যোগ করেন, “আমরা নাগা ন্যাশনাল কাউন্সিলের সদস্যের উপর গুলি চালানো দুর্বৃত্তদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি এবং শীঘ্রই তাদের গ্রেপ্তার করব।”
সামগ্রিকভাবে এই এলাকায় সম্প্রতি বেশ উত্তেজনা বিরাজ করছে। মণিপুর ভ্রমণকারী অফিসারদের হত্যা করার জন্য বোমা স্থাপন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এরপর সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী সংগঠনের গুলিতে একজন আহত হয়। সম্প্রতি তিনজন অভিযুক্ত সন্ত্রাসীকে কাছাড় পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে সাধারণ মানুষ।
Comments are closed.