Also read in

হাইলাকান্দিতে জুম্মার নামাজে উত্তেজনা, শূন্যে গুলি, অনির্দিষ্টকালীন কার্ফু জারি

হাইলাকান্দি জেলা সদরে অনির্দিষ্টকালীন কার্ফু জারি করল জেলা প্রশাসন। কার্ফুর সময় কাউকে ঘর থেকে বের হতে বারণ করা হয়েছে।

মসজিদের বাইরে রাখা বাইকের সিট কাটা কান্ডের সুত্র ধরে শুক্রবার পবিত্র জুম্মার নামাজের সময় উত্তপ্ত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে কার্ফু জারি করেছেন জেলা উপায়ুক্ত কীর্তি জল্লি।

এদিন বেলা বারোটা নাগাদ রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে উঠে হাইলাকান্দি জেলা সদর।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশকে বাধ্য হয়ে শূন্যে কম করেও পনের রাউন্ড গুলি চালাতে হয়। জেলা শাসক কীর্তি জল্লি হাইলাকান্দিতে ভারতীয় দন্ড বিধির ১৪৪ ধারা জারি করেছেন। গোটা শহরে পুলিশ সি আর পি এফ বাহিনী মোতালেন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলেও নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।

জানা গেছে, শুক্রবার হাইলাকান্দি জেলা সদরের মাড়োয়াড়ি পট্টী মসজিদের সম্মুখের রাজপথে নামাজ পড়াকে কেন্দ্র করে বিতর্কের সুত্রপাত। সম্প্রতি তারাবির নামাজের সময় বাইকের সিট কাটা কান্ডকে কেন্দ্র করে এদিন ওই মসজিদে মুসল্লির ভীড় জমে ওঠে ।। যার ফলে কিছু লোক মসজিদের সম্মুখের রাজপথে নামাজ পড়ার চেষ্টা করে। তখন স্থানীয় একাংশ যুবক তাতে বাধা দেয়। চলে ইট পাটকেল বৃষ্টি । আর এনিয়ে দুপক্ষের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ, পাল্টা ইট পাটকেল ছোঁড়ার ঘটনা শুরু হয়। মূহুর্তের মধ্যে এলাকাটি রণক্ষেত্রের আকার ধারণ করে।৷ তখন যে যেদিকে পারে পালানোর চেষ্টা করে। গোটা শহরের প্রতিটি রাস্তায় দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়।। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে শহরে।৷ এহেন পরিস্থিতিতে জেলা শাসক কীর্তি জল্লি তাৎক্ষণিকভাবে ১৪৪ ধারা জারি করেন।৷ পুলিশ প্রশাসন ময়দানে নামে।। পুলিশ, সি আর পি এফ বাহিনী মাঠে নেমে একসময় শূন্যে কম করেও পনের রাউন্ড শূন্যে গুলি চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। অভিযোগ, পুলিস শুরু থেকে তৎপর থাকলে এ ধরনের ঘটনা ঘটত না। যদিও শেষ মূহুর্তে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের নির্দেশে জেলা প্রশাসন কড়া হাতে পরিস্থিতির মোকাবিলা করলে এহেন পরিস্থিতির সৃষ্টি হত না বলে অনেকেই মনে করছেন।।

এদিন জুম্মার নামাজের সময় ইট পাটকেল ছোঁড়ার ঘটনার পরই শহরের অধিকাংশ দোকান পাট বনধ হয়ে পড়ে। সাধারণ নাগরিক, জনসাধারণ আতংকিত হয়ে পড়েন।।

Comments are closed.