মৌলভী হোসেন আহমেদকে মারধর: থানা ঘেরাও, উত্তেজনা রংপুরে
সন্ধ্যা রাতে রংপুর এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় হোসেন আহমেদ বড়লস্কর নামের এক মৌলভীকে মারধরের ঘটনায় গতকাল রাত উত্তাল হয়ে ওঠে রংপুর। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সদরঘাটেও বিক্ষিপ্ত ঘটনায় হামলার শিকার হন এক ট্যাক্সি এবং অটো চালক।
মৌলভীকে মারধরের ঘটনায় রাত নটা নাগাদ এক এজাহার দায়ের করেন মৌলভীর ছেলে এবাদুর রহমান লস্কর। এজাহারে বলা হয়েছে হোসেন আহমেদ বড় লস্কর সন্ধ্যারাতে রংপুরে বাজার সেরে দ্বিচক্রযান নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে একদল যুবক তার উপর হামলা চালায়, স্কুটি থেকে ফেলে কিল ঘুষি মারা হয় বলে অভিযোগ। আহত অবস্থায় তাকে শিলচর মেডিকেল চিকিৎসার জন্য কলেজে পাঠানো পাঠানো হয়। এজাহারে হামলাকারী হিসেবে উল্লেখ রয়েছে সঞ্জীব দাস, অভি দাস, অবিনাশ দাস, বাপন দাস, কিরণ রায়, শিবেন্দ্র ঘোষ, শিব দাস এবং সুধাংশু রায়ের নাম।
এদিকে বয়স্ক মৌলভীকে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করার প্রতিবাদে এবং অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবিতে রাতে শত শত জনতা ঘেরাও করে রংপুর পুলিশ ফাঁড়ি। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে ছুটে যান ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার প্রতাপ সিনহা, এডিশনাল পুলিশ সুপার জগদিশ দাস, অ্যাডিশনাল এসপি গৌরব আগারওয়াল, সদর থানার ইনচার্জ দিতুমনি গোস্বামীরা। স্থানীয় প্রবীনদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন পুলিশ কর্তারা। সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, পুলিশি আশ্বাসে অবশেষে ঘেরাও প্রত্যাহার করেন এলাকাবাসীরা।
উল্লেখ্য কিছুদিন আগে রংপুর নরসিংহ আখড়ার সামনে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদের জেরে শুক্রবার সকাল থেকে রংপুর সদর ঘাট এলাকা উত্তাল হয়ে উঠেছিল। বিভিন্ন হিন্দু সংগঠন ভিআইপি সড়ক অবরোধ করে রেখেছিল প্রায় দুই ঘণ্টা। এ ঘটনায় অভিযুক্ত নাসিমুল হক লস্করকে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছিল।
Comments are closed.