
হাইলাকান্দিতে বন্যা পরিস্থিতি জটিল: জলের নিচে পূর্ত সড়ক, মৃত এক
টানা বর্ষনের ফলে হাইলাকান্দি জেলা জুড়ে বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশই জটিল রূপ নিচ্ছে। হাইলাকান্দি- মাটিজুরি- শিলচর পুর্ত সড়ক সহ একাধিক সড়কের উপর দিয়ে বন্যার জল প্রবাহিত হওয়ায় ওই সব সড়ক দিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে চলতি বন্যায় জেলায় এক ব্যাক্তির মৃত্যু হয়েছে।
বন্যার জলে ডুবে মৃত সোনাছড়া চা বাগানের শ্রমিক জগদীশ ভুমিজের লাশ ১৮ ঘন্টা পর রবিবার উদ্বার করেছে এসডিআরএফ দল। মৃতদেহ কাটলিছড়া পুলিশ হাইলাকান্দি এস কে রায় সিভিল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।। এদিন সকাল সাড়ে দশটায় এসডিআরএফ দল উদ্বার কাজে নামে এবং দুপুর বারোটায় যেখানে বন্যার জলে ডুবেছিল জগদীশ সেখানে একটি ডুমুর গাছের কাছাকাছি জলের নীচ থেকে লাশ উদ্বার করে।।
ভয়াবহ বন্যায় শিলচর হাইলাকান্দি পুর্ত সড়কের মাটিজুরি, টেমপুর, সানারিকোনা এলাকায় বন্যার জল প্রবাহিত হওয়ায় রবিবার সকাল থেকে ওই সড়কে সবধরনের যান বাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুর্ত বিভাগ।৷ বর্তমানে ওই সড়কটির বিভিন্ন অংশ বন্যার জলের তলায় রয়েছে। অপরদিকে কালাছড়া সামারিকোনা পুর্ত সড়ক, কালাছড়া – নিমাইচান্দপুর পুর্ত সড়ক, সোনাছড়া ধলাই পুর্ত সড়কও বন্যার জলে প্লাবিত হয়ে পড়ায় ওই সব সড়ক দিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।৷ হাইলাকান্দি জেলার আলগাপুর, হাইলাকান্দি, লালা ও কাটলিছড়া রাজস্ব চক্র এলাকার এক শত দুইটি গ্রামের ১২৮৮৩ টি পরিবার বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন। পুর্ব হাইলাকান্দির পুর্বগুল, কান্দিগ্রাম, মিরাগ্রাম, টুকরগ্রাম, ধুমকর, বাঁশডহর, বড়ইলাকান্দি, সানারিকোনা, মোহনপুর, কাটলিছড়ার সোনাছড়া,রুপাছড়া,বস্তি,লালাছড়া, বার্নারপুর ইত্যাদি এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে পড়েছে।
রবিবার বিজেপি জেলা সভাপতি সুব্রত নাথ ,বিভাস সিনহা,প্রাক্তন জেলা সভপতি গোবিন্দ লাল চ্যাটার্জি,লালা মণ্ডল সম্পাদক সুমন নাথ, অনুপ নাথ, নিটন নাথ প্রমুখ বন্যাক্রান্ত লালাছড়া, বার্নারপুর এলাকা পরিদর্শন করে বানভাসি মানুষের খোঁজ খবর নেন। এদিকে ধলেশ্বরী ও কাটাখাল নদীতে জলস্ফীতির ফলে লালা কাটলিছড়ার কাটাখাল নদীর পুর্ব তীরবর্তী বিস্তীর্ন এলাকার বৈদ্যুতিক লাইনে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে বিভাগ। শনিবার রাতে রূপাছড়া, সোনাছড়া, লালাছড়া, মালিছড়া, বার্নারপুর ইত্যাদি অঞ্চলের এগারো কেভি লাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহ বনধ করে দেওয়া হয়েছে।।
চলতি বন্যায় জেলার ১০২ টি গ্রামের ১২৮৮৩ টি পরিবারের প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষ বন্যার কবলে পড়ে হাহাকার করছেন।। ৪৮৬ হেক্টর কৃষি জমি বন্যার জলে তলিয়ে গেছে। মোহনপুর ও বার্নিব্রিজ এলাকায় জলসম্পদ বিভাগের দুটি ডাইকের বাঁধ ভেংগে বিস্তীর্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
হাইলাকান্দি জেলার বানভাসি মানুষের জন্য ত্রান ও পুর্নবাসনে সবধরনের ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল ঘোষণা করেছেন।। বন্যায় গৃহহীন পরিবারের জন্য ত্রানের ব্যাবস্থা করা হচ্ছে বলে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল, রবিবার হাইলাকান্দি জেলা বিজেপি সভাপতি সুব্রত নাথকে আশ্বাস দিয়েছেন।
Comments are closed.