শিলচর-দুধপাতিল সংযোগে অবশেষে বরাকের ওপর নতুন সেতুর স্থান নির্ধারিত হলো, ৯৬ কোটির ডিপিআর
বহু বিতর্ক, আবেদন-নিবেদন, আন্দোলনের পর অবশেষে বরাকের ওপর নতুন সেতুর স্থান নির্ধারিত হলো। এই নতুন সেতুটি হবে ইটখলাঘাট ও অন্নপূর্ণা ঘাটের মধ্যবর্তী স্থানে অর্থাৎ টাউন ক্লাবের রাস্তার ঠিক বিপরীতে। ওই স্থানে রাস্তা প্রশস্ত করে একটা রোটারিও তৈরি করা হবে। তাছাড়া মধুরা মুখের দীর্ঘদিন ধরে তৈরি হয়ে পড়ে থাকা সেতুর এপ্রোচ তৈরির জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে দিসপুরে। বিভিন্ন বিভাগকে নিয়ে জেলাশাসকের দপ্তরে বৈঠকের পর ব্যাপারটা খোলাসা হলো।
বিভিন্ন বিভাগকে নিয়ে জেলা শাসক দ্বারা আহুত সাংবাদিক সম্মেলনে পূর্ত বিভাগের শিলচর গ্রামীণ সড়কের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার এন আর পাল এই তথ্য তুলে ধরেন। শিলচরের দিকে সেতুর অ্যাপ্রোচ হবে ট্রাঙ্ক রোডে জেলা জজ ও পূর্ত ভবন দপ্তরের আবাসনের মাঝখান দিয়ে। সেতু নির্মাণে ৭৫ কোটি, অ্যাপ্রোচ এবং আনুষঙ্গিক খরচ নিয়ে ৯৬ কোটি টাকার ডিটেইলড প্রজেক্ট রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। খুব শিগগিরই অনুমোদন মিলবে, এমনটা আশা করেছেন তিনি। বাস্তুকার পাল জানান, টেকনিক্যাল কমিটির রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পর চৈতন্য নগর হয়ে দুধ পাতিলের সঙ্গে সংযোগকারী সেতু তৈরির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়। এখন ট্রাঙ্ক রোড ও টাউন ক্লাব রোডের সংযোগস্থলে যে তেমাথা আছে, ওইখানেই চৌমাথা হবে এবং রোটারি তৈরি করা হবে।
তাছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের তরফ থেকে উন্নয়নমূলক বিভিন্ন প্রকল্পের সংবাদ জানানো হয়। পূর্ত বিভাগের তরফ থেকে জানানো হয়, জেলা গ্রন্থাগার ভবন নির্মাণে ২৯ কোটি টাকার এস্টিমেট ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে। বনবিভাগের তরফে ডিএফও ইন্দ্রদেও চৌধুরী জানান, বড়াইল অভয়ারণ্যে পর্যটকদের জন্য দু- তিনটে ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করার পরিকল্পনাও রয়েছে। কাছাড়ে একটা চিড়িয়াখানা করার জন্য জায়গাও খোঁজা হচ্ছে। শ্রীকোনা, পানিভরা, দরগাকোনা প্রভৃতি অঞ্চলে জমি দেখা চলছে।
প্রস্তাবিত প্রকল্প গুলি দ্রুত রূপায়িত হলে বরাকে উন্নয়নের জোয়ার বইবে তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই।
Comments are closed.